আরাবুল ইসলাম বনাম শওকত মোল্লা তরজায় গত কয়েকদিন ধরেই তোলপাড় ভাঙড়। কিছুদিন আগেই শওকত মোল্লাকে তোলাবাজ বলার পাশাপাশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনেছিলেন আরাবুল ইসলাম। এই নিয়ে এবার আরাবুলকে এবার আইনি নোটিশ পাঠালেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। তাঁর দাবি, আরাবুলের এই মন্তব্যের ফলে তার সম্মানহানি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘কেউ ভাঙড় কেড়ে নিতে পারে না’, জেল থেকে ছাড়া পেয়ে হুঙ্কার তাজা নেতা আরাবুলের
সম্প্রতি আরাবুল ইসলাম শওকত মোল্লাকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেছিলেন, শওকত মোল্লা নিজে ঠিকাদার। তাঁর স্ত্রী ঠিকাদার, ছেলে ঠিকাদার, গোটা পরিবারই ঠিকাদারির সঙ্গে যুক্ত। প্রচুর অর্থ উপার্জন হয়। কিন্তু, পুরোটা একাই আত্মসাৎ করেন শওকত মোল্লা। ব্যবসার সব টাকা তিনি একাই নিয়ে চলে যান। শওকতকে কটাক্ষ করে আরাবুলের আরও বক্তব্য, যে নিজেই সব টাকা নিয়ে চলে যায় সে আবার ভাঙড়ের মানুষের কি উন্নয়ন করবে। এই প্রসঙ্গে শওকতকে ধিক্কার জানান আরাবুল ইসলাম। শুধু তাই নয়, আরাবুলকে মুখোশধারী বলার পাশাপাশি তোলাবাজি বলেও কটাক্ষ করেন। তিনি আরও জানান, এটা তৃণমূল কংগ্রেস একেবারেই পছন্দ করে না।
তাঁর সেই মন্তব্যের পরেই আরাবুলকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন শওকত মোল্লা। এবিষয়ে শওকত মোল্লা জানান, তিনি আরাবুলকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। আইনিভাবে তিনি যা বলার বলবেন। শুধু তাই নয়, আরাবুলকে পাগল ছাগল বলেও মন্তব্য করেন। তিনি জানান, কারও কথায় কিছু এসে যায় না। আইনিভাবে আরাবুলের সব কথার উত্তর দেবেন তিনি। কোনও জেল খাটা হরিদাস পালের সঙ্গে কাছে তিনি রাজনীতি শিখবেন না।
উল্লেখ্য, একসময় ভাঙড় আরাবুলের গড় হিসেবেই পরিচিত ছিল। তবে লোকসভা নির্বাচনে ঠিক আগেই সেখানকার রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে যায়। সেই সময় আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আরাবুলের অনুপস্থিতিতে ভাঙড়ে তৃণমূলের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পান শওকত। আর আরাবুল জেল থেকে ছাড়া পেতেই শুরু হয়েছে দুই নেতার তরজা আর এবার আইনি নোটিশ।
এই সুযোগে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের নেতা সজল ঘোষ বলেছেন, দলে না থাকলে ওরা ভিক্ষাও পাবেন না। সিপিএমের সময় থেকে এমনটা করে আসছেন শওকত মোল্লা। তবে শওকতের থেকে আরাবুলের কিছুটা স্ট্যান্ডার্ড রয়েছে। তাঁর আরও কটাক্ষ, তৃণমূল ক্ষমতায় না থাকলে হকারও ওদের পয়সা দিত না। সবমিলিয়ে শওকত আরাবুল তরজাকে ঘিরে এই মুহূর্তে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।