তিনি একাধারে অভিনেত্রী। আবার অন্যদিকে তিনি তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক। তিনি সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার গেরুয়া শিবিরকে সমঝে দিতে তিনি একেবারে কড়া ফিল্মি ডায়ালগ বললেন জনতার মাঝে। শুক্রবার বাঁকুড়ার ১ নম্বর ব্লকের কল্যাণপুর গ্রামে তৃণমূলের কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বক্তব্য় রাখেন সায়ন্তিকা। তিনি বলেন, দাদার অনুগামীরা এখন আমাকে সমঝে চলে। কারণ সেই দাদার অনুগামীরাও জেনে গিয়েছে, তৃণমূল এখন দুধকলা দিয়ে কালসাপ পোষা বন্ধ করে দিয়েছে। এখন আমরা কালসাপ দেখব তো বিষদাঁতটা উপড়ে ফেলে ঝুড়িতে ঢুকিয়ে বাংলা থেকে বিদায় করে গুজরাটে নিয়ে গিয়ে ফেলব। চোখ তুলে তাকানোর আগে ৫বার ভাববে…
তবে সায়ন্তিকা যেভাবে বিরোধীদের নিশানা করে আক্রমণ করেছেন তার বিরুদ্ধে এবার সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, সায়ন্তিকার ফিল্মি ডায়লগ বিশেষ কাজে দেবে না। এবার সাধারণ মানুষ সরকারি বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামছেন। তাঁরাই এর জবাব দেবেন। তবে আর কী বলেছেন সায়ন্তিকা?
এর সঙ্গেই সায়ন্তিকার সংযোজন, দলের অন্দরে দাদার অনুগামীরা ছিল। অনেকেই পাঁচিলের উপরে উঠেছিল। তারা যেন পাঁচিলের উপরেই থাকে। দলের মধ্যে এখনও সেই দাদার অনুগামীরাই রয়েছে। তাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ থাকলে ভালো। নাহলে তাদের টেনে দল থেকে বের করে দেওয়া হবে।
একেবারে আগুন ঝড়ানো ফিল্মি ডায়ালগ। এমনটাই বলছেন অনেকে। ঠিক যেভাবে বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী একটা সময়ে বলতেন, মারব এখানে…একেবারে সেই ধাঁচেরই ডায়ালগ দিয়ে তৃণমূলের সভাকে মাতিয়ে দিলেন সায়ন্তিকা।
এর সঙ্গেই বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেন তিনি। তাঁর মতে, তাঁর ( শুভেন্দুর) পাপের মাশুল আমাদের গুনতে হচ্ছে। একেবারে চাঁচাছোলা ভাষায় তিনি আক্রমণ করেন বিরোধীদের।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, জেলায় জেলায় দিদির দূত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মহা অস্বস্তিতে তৃণমূল। গ্রামে ঢুকতে পারছেন না দিদির দূতেরা। বিক্ষোভ চরমে। আবাস যোজনায় ভয়াবহ দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, এলাকার অনুন্নয়ন নিয়ে সরব সাধারণ মানুষ। এর জেরে মহা সমস্যায় পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
তার মধ্যে কার্যত চড়া সুরে বিরোধীদের বিঁধলেন সায়ন্তিকা। তবে বিজেপি নেতৃত্ব পালটা তোপ দেগেছেন সায়ন্তিকার বিরুদ্ধে। বিজেপির দাবি যে ভাষায় সায়ন্তিকা আক্রমণ করেছেন তা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। বাঁকুড়ার সাধারণ মানুষ এবার সায়ন্তিকার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন।