পেট্রোল–ডিজেল ইতিমধ্যেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। তাই রাস্তায় বাস নামিয়ে একই ভাড়ায় চালানো ঢাকের দায়ে মনসা বিক্রির অবস্থা হচ্ছে। যেটুকু টিকিট বিক্রি হচ্ছে তাতে খরচ উঠছে না। এই নিয়ে লাগাতার পরিবহণ দফতরকে জানিয়েছেন বাস–মালিক সংগঠনের কর্তারা। এই পরিস্থিতিতে চলতি বছরে ১০০টি বাসকে ডিজেল থেকে সিএনজিতে পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা (এসবিএসটিসি)। পাশাপাশি আসানসোল ভায়া কলকাতা রুট গ্রিন করিডর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুতরাং এই রুটের সব বাসই চলবে সিএনজিতে।
সিএমজি বাসের সংখ্যা যদি বাড়ে আর ভাড়া যদি কমে তাহলে মানুষ এই বাসেই সফর করবেন। বেসরকারি এবং সরকারি বাসও চাপে পড়ে গিয়েছে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জেরে। সেখানে এটাকেই বিকল্প পথ হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে। এখন দেখা গিয়েছে, এই চড়া মূল্যবৃদ্ধির জেরে অনেকেই বসিয়ে দিয়েছেন বাস। কিন্তু সরকারি বাসের ক্ষতি হলেও বন্ধ করা যাবে না।
এসবিএসটিসি সূত্রে খবর, দুর্গাপুজোর সময় টিকিট বিক্রি ভালো হলেও পরে বিক্রি কম যায়। কিন্তু খরচ একফোঁটা কমেনি। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর গোদালা কিরণ কুমার বলেন, ‘২০১৭–১৮ সালে ডিজেল কিনতে খরচ পড়ত ৭৫ কোটি টাকা। এখন খরচ পড়ে ১২৫ কোটি টাকা। ডিজেল ছাড়া মোবিল, বাসের যন্ত্রাংশ, বিমা সহ–সব খরচই বেড়েছে। তাই লোকসান হচ্ছে। খরচ কমানোর জন্য চলতি বছরে আমরা ১০০টি বাসকে ডিজেল থেকে সিএনজিতে পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এখন এই রুটে চলছে বেশ কিছু সিএনজি বাস। এই বিষয়ে সংস্থার চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল বলেন, ‘আসানসোল–দুর্গাপুর কলকাতা এই রুটটিকে গ্রিন করিডর করব। এই রুটের সব বাস চলবে সিএনজিতে। ডিজেল থেকে সিএনজিতে বদল ঘটানো একশো বাসকে চালানো হবে এই রুটে। সিএনজি চালিত নতুন বাস কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। তাতে দূষণও কমবে, খরচও কমবে।’