রাজ্যের স্কুলশিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বেশ কিছুদিন ধরে। ছাত্রের অভাবে রাজ্যে একের পর এক বন্ধ হচ্ছে সরকারি স্কুল। ধুঁকছে কয়েক হাজার। একই মধ্যে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল নদিয়ার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, স্কুলের যাবতীয় দায় দায়িত্ব শ্যালিকার ওপর ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। এই অভিযোগে শনিবার শান্তিপুরের নৃসিংহপুর উত্তর কলোনি হাই স্কুলে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। অভিভাবকদের অভিযোগকে সমর্থন করেছে স্কুলের শিক্ষকরাও।
আরও পড়ুন - ডিম ভাত খেতে কলকাতা গেলে ইন্সুরেন্স করে বাড়ি থেকে বেরোবেন, পোস্টার পড়ল হুগলিতে
পড়তে থাকুন - অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলার হুমকি, গ্রেফতারির পরেও তেজ কমেনি জামালের
প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত বিশ্বাসের শ্বশুরবাড়ির পাড়াতেই ওই স্কুল। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই সুযোগে স্কুলকেই শ্বশুরবাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। স্কুলের দায় দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন শ্যালিকা সন্ধ্যা মণ্ডলের ওপর। কোন শিক্ষক কোন ক্লাস নেবেন, মিড ডে মিলে কী রান্না হবে সবই ঠিক করেন প্রধান শিক্ষকের শ্যালিকা। রোজ প্রধান শিক্ষকের ঘরে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গল্প গুজব করেন তিনি।
সম্প্রতি স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এক অভিভাবক বিষয়টির প্রতিবাদ করায় তাকে গ্রুপ থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর পর শনিবার স্কুলে অভিভাবকরা জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের অভিযোগ, স্কুলকে শ্বশুরবাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন প্রধান শিক্ষক। ওনার শ্যালিকা স্কুলের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হয়ে উঠেছেন। ওদিকে স্কুলের পঠন পাঠন দিনে দিনে উচ্ছন্নে যাচ্ছে। প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষকের শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধরের ভয় দেখাচ্ছেন।
অভিভাবকদের অভিযোগে সম্মতি জানিয়েছেন এক শিক্ষকও। তিনি বলেন, ‘স্কুলে পড়াশুনোর পরিবেশ নেই। প্রধান শিক্ষকের শ্যালিকা যে ভাবে স্কুল পরিচালনা করছেন তা বেআইনি। আমরা এই নিয়ে বললেও কাজ হয়নি।’
আরও পড়ুন - শ্লীলতাহানির অভিযোগ ভুয়ো, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির রিপোর্ট প্রকাশ করে দাবি রাজভবনের
যদিও প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত বিশ্বাসের দাবি, সবই হচ্ছে নিয়ম মেনে। অভিযোগ থাকলে স্কুল পরিদর্শককে জানাতে পারেন অভিভাবকরা। তাঁর যুক্তি, তাঁর শ্যালিকা স্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধি। সেই সূত্রেই স্কুলের বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। এছাড়া মাঝে মাঝে শ্বশুরবাড়ি থেকে খাবার দিতে আসেন শ্যালিকা।