মৃত ছাত্রের বকেয়া ফি চেয়ে বিতর্কে জড়ালো বর্ধমানের একটি বেসরকারি স্কুল। কর্তৃপক্ষের এমন অমানবিক আচরণে হতবাক পরিবারের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পূর্ব বর্ধমানের জেলা এবং মহকুমা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন মৃত ছাত্রের বাবা-মা। এনিয়ে বিতর্ক তৈরি হতেই স্কুল কর্তৃপক্ষ পদ্ধতিগত ত্রুটিকেই দায়ী করেছেন। (আরও পড়ুন: মতুয়াদের পুণ্যস্নান আজ, তার আগে 'বোধদয়', বারুণী মেলায় মমতাবালর সঙ্গেই শান্তনু)
আরও পড়ুন: চাটানো হল টয়লেটের সিট, ভয়ঙ্কর র্যাগিং, অপমানে আত্মঘাতী পড়ুয়া, তদন্তে SIT
জানা গিয়েছে, বছর তেরোর ওই পড়ুয়া স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। প্রায় সাড়ে ৩ মাস আগে গত ডিসেম্বরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়েছিল ছাত্রের। তবে তার মৃত্যুকে ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। পরিবারের দাবি, মেঝে থেকে মাত্র তিন ফুট উচ্চতায় গলায় ফাঁস লাগানো দেহ উদ্ধার হয়েছিল তার। হাঁটু মেঝেতে মোড়া অবস্থায় ছিল। ফলে ছাত্রের মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য তৈরি হয়। অভিভাবকদের দাবি, অনলাইন গেমের খপ্পড়ে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল নাবালকের। এমনকী পুলিশ প্রশাসনও তাঁদের সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ। তারইমধ্যে সম্প্রতি ওই দম্পতিকে ফোন করে বকেয়া ফি মেটাতে বলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এবিষয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন মৃত ছাত্রের বাবা-মা। তাঁদের বক্তব্য, স্কুল কর্তৃপক্ষ যাতে মানবিক হন এবং কোনও সন্তানের বাবা-মাকে যেন এরকম পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, তার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। (আরও পড়ুন: দুর্গা মন্দিরে পাঁচিল ভাঙার অভিযোগ, উত্তেজনা ছড়াল মেমারিতে)
জানা গিয়েছে, ছাত্রের বাবা-মা দুজনেই শিক্ষকতা করেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, পড়ুয়ার মৃত্যুর পর স্কুলের তরফে আর কোনও খোঁজ খবর নেওয়া হয়নি। এমনকী শোক প্রস্তাবও নেওয়া হয়নি। আর এখন বেতন চাইছে স্কুল। এবিষয়ে বিতর্ক শুরু হতেই স্কুলের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, স্কুলের সফটওয়্যার থেকে কোনও পড়ুয়ার বেতন বাকি থাকলে তার তথ্য পাওয়া যায়। সেই তথ্য দেখেই একজন কর্মী ছাত্রের বাবা-মাকে ফোন করেছিলেন। ওই কর্মীর সেটা জানা ছিল না। তাঁদের বক্তব্য, স্কুলের তরফে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। এদিকে, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় স্কুলের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগও তুলেছেন ওই দম্পতি। এ বিষয়ে পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলা শাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিংহ জানিয়েছেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। স্কুলের কাছ থেকে এবিষয়ে জানতে চাওয়া হবে।