এবার নদীর ধার থেকে উদ্ধার হল স্কুল–ছাত্রের গলাকাটা দেহ। তিনদিন আগে এই স্কুল–ছাত্র নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল বলে খবর। আজ তার গলাকাটা দেহ উদ্ধার হল নদীর ধারে। কে বা কারা খুন করল তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। এই স্কুল–ছাত্রের নাম মনোজ বর্মণ। খুনের অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার নেপথ্যে তন্ত্রসাধনার যোগ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে আলিপুরদুয়ার–১ নম্বর ব্লকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ২৩ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় স্কুল–ছাত্র মনোজ৷ তারপর থেকে কোনও খোঁজ মেলেনি। এবার বুড়িতোর্ষার চড়ে উদ্ধার হয় স্কুল–ছাত্র মনোজের গলাকাটা দেহ। কেন খুন করল মনোজকে? এই প্রশ্নের উত্তর এখন হাতড়ে বেড়াচ্ছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, তন্ত্রসাধনার জন্যই তাকে বলি দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই খুনের তদন্তে আলিপুরদুয়ার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবাশিষ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে টিম তৈরি হয়েছে৷ এই খুনের ঘটনায় বাবলু বাগচী বলে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই খুনের নেপথ্যে তন্ত্রসাধনার যোগসূত্র মিলেছে। তবে বিষয়টি যাচাই করে দেখা হচ্ছে। কারণ এই ঘটনা বাবলু সরাসরি যুক্ত এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি।
সূত্রের খবর, এই স্কুল ছাত্রের খুনের ঘটনার বিষয়ে বাবলু জানে। কারণ এই তন্ত্রসাধনার কথা বাবলুই পুলিশকে বলেছে। আবার এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নিহত স্কুল–ছাত্র মনোজ বর্মণের প্রতিবেশী সুনীল বর্মণ বলে পুলিশকে বাবলুই জানিয়েছে। যদিও সুনীল বর্মণ এখন পলাতক। সুতরাং খুনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে যুক্ত বাবলু বলে পুলিশের ধারণা।