বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন, মিড–ডে–মিলের জন্য যেন কোনও কার্পণ্য করা না হয়। বরাদ্দ বাড়িয়ে শিশুদের পুষ্টির দিকে খেয়াল রাখা হোক। এমনকী ছুটির দিনেও পারলে দেওযা হোক মিড–ডে–মিল। মুখ্যমন্ত্রীর সেই ইচ্ছাই এবার বাস্তবায়িত করতে চলেছে স্কুলশিক্ষা দফতর। আর তা প্রকাশ্যে আসতেই খুশি স্কুলপড়ুয়ারা। অনেকেই মনে করছে, এটা নতুন বছরের উপহার।
ঠিক কী ঘটেছে? হাতে আর তিনদিন বাকি। তারপরেই নতুন সাল ২০২২। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি সরকারি ছুটির তালিকাভুক্ত। সেদিন কী মিড–ডে–মিল পাওয়া যাবে? এই প্রশ্ন ছিল অভিভাবকদের। এটা জানতে পেরেই রাজ্যের শিক্ষা দফতর জানিয়ে দিয়েছে, ১ জানুয়ারি মিলবে মিড–ডে–মিল। ইংরেজি নতুন বছরের প্রথমদিন থেকেই স্কুলগুলিকে মিড–ডে–মিলের সামগ্রী দিতে হবে। এই কথা জানতে পেরে অত্যন্ত খুশি অভিভাবকরা।
সূত্রের খবর, মিড–ডে–মিল নিয়ে সরকার যে বরাদ্দ করছে তা স্কুলগুলিতে আসা পড়ুয়াদের তুলনায় কম। অথচ সরকারের যে বরাদ্দের তালিকা সেখানে সামঞ্জস্যপূর্ণ দেখা যাচ্ছে। তাহলে মাঝখানে কোনও গড়মিল হচ্ছে? উঠেছে প্রশ্ন। এইসব সমস্যার মধ্যেই কয়েকটি জেলার স্কুল পরিদর্শক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছেন, আগামী ১ জানুয়ারি থেকেই স্কুল থেকে মিড–ডে–মিলের সামগ্রী অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। যদিও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ছুটির তালিকায় ১ জানুয়ারি নববর্ষ উপলক্ষ্যে স্কুল ছুটি।
এই ছুটিতে মিড–ডে–মিল দেওয়া সম্ভব কিনা তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়। ইতিমধ্যেই শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, ১ জানুয়ারি থেকেই মিড–ডে–মিল শুরু করতে হবে। কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘ছাত্র দিবস’ পালন করার কথা জানিয়েছেন। সুতরাং একটু অসুবিধা হলেও স্কুলশিক্ষা দফতর এবং শিক্ষক–শিক্ষিকারা সমন্বয় করে মিড–ডে–মিল বিতরণের কাজ করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে ১ জানুয়ারি পড়ুয়ারা পাবে মিড–ডে–মিল। এটাই খুশির খবর।