বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > School teacher beaten: ছাত্রের ছবি তোলার জন্য স্কুল শিক্ষককে মারধর, কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা

School teacher beaten: ছাত্রের ছবি তোলার জন্য স্কুল শিক্ষককে মারধর, কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা

স্কুল শিক্ষককে মারধর করার অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।

জয়ন্ত কুণ্ডু হলেন ওই স্কুলের রসায়ন শিক্ষক। দুষ্টুমি করার জন্য এক ছাত্রকে টিচার্স রুমে কান ধরে দাঁড় করিয়েছিলেন ইংরেজির শিক্ষিকা। যেখানে দাঁড় করানো হয়েছিল তার পিছনে ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ইন্দিরা গান্ধী এবং গৌতম বুদ্ধের ছবি। তখনই ছবি তুলছিলেন ওই শিক্ষক।

স্কুল শিক্ষককে মারধর করা অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। আক্রান্ত স্কুল শিক্ষকের নাম জয়ন্ত কুণ্ডু। তিনি দমদমের কুমার আশুতোষ ইনস্টিটিউশনের শিক্ষক। তাঁকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে স্কুলের পরিচালন কমিটির প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা সৃজন বসুর বিরুদ্ধে। মারধর করার পাশাপাশি তাঁর মোবাইল ফোন ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও শিক্ষককে মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা। তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন ওই শিক্ষক। তা নিয়ে বোঝানোর জন্যই তিনি শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছেন, মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি।

জানা গিয়েছে, জয়ন্ত কুণ্ডু হলেন ওই স্কুলের রসায়ন শিক্ষক। দুষ্টুমি করার জন্য এক ছাত্রকে টিচার্স রুমে কান ধরে দাঁড় করিয়েছিলেন ইংরেজির শিক্ষিকা। যেখানে দাঁড় করানো হয়েছিল তার পিছনে ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ইন্দিরা গান্ধী এবং গৌতম বুদ্ধের ছবি। তখনই ছবি তুলছিলেন ওই শিক্ষক। সেই খবর ছড়িয়ে পড়ায় স্কুলে চলে আসেন তৃণমূল নেতা। এরপর তিনি জয়ন্ত কুণ্ডুকে ব্যাপক মারধর করেন বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার মুখে পড়েন তৃণমূল নেতা। তবে তৃণমূল নেতা দাবি করেছেন, ‘ওই শিক্ষক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। এক ছাত্রের ছবি তুলেছেন সেই নিয়ে ছাত্রের অভিভাবক আপত্তি জানিয়েছিলেন। তা জানতে আমরা স্কুলে গিয়েছিলাম। ওনাকে কোনওভাবে মারধর করা হয়নি। যদি উনি এটা বলে থাকেন তাহলে সেটা খুবই দুঃখজনক। ওনার সঙ্গে আমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা একসঙ্গে বসে চা খাই। ওনার সঙ্গে শুধু কথা বলেছিলাম। মারধরের অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যে।’

পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে অসম্মানের কথা অস্বীকার করেছেন শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর ছবির সামনে একটি ছেলেকে দাঁড় করানো হয়েছিল। ছেলেটার ছবি তুলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ছবিও চলে এসেছিল। মুখ্যমন্ত্রীকে অসম্মান করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। আমি ছবিটি কাউকে পাঠাইনি। টিফিন শেষে আমি দশম শ্রেণির ক্লাস নিতে গিয়েছিলাম। ক্লাস শেষ হতেই সৃজন বসু এবং তার দলবল আমার উপর হামলা চালায়। আমাকে মারধর করা হয়েছে, আমার মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলা হয়েছে।’ তবে এ প্রসঙ্গে কোনও শিক্ষক তার পাশে দাঁড়ায়নি বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই শিক্ষক। সিঁথি থানায় তাঁর মোবাইল ফোনটি জমা রয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রধান শিক্ষক সমীর বসাক জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগ পেলে এ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন