বেড়াতে যাওয়ার নাম করে এক স্কুল শিক্ষিকার কাছ থেকে এক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। অনলাইনে বুকিং করেছিলেন ওই শিক্ষিকা। কিন্তু পরে দেখা যায়, পুরোটাই ভুয়ো। অনলাইনে ট্রাভেল এজেন্সির যে অফিসের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে, সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
জানা যায়, অনেকদিন ধরেই কাশ্মীরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন বারাসতের বাসিন্দা এক স্কুল শিক্ষিকা। সেইমতো অনলাইনে রিভিউ দেখে ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। ৪ জনের কাশ্মীর ট্যুর প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান তিনি। সেইমতো কাশ্মীরে যাওয়া, আসা, শিকারায় বুকিং-সহ একটা টুর প্ল্যান দেয় সংস্থা। শিক্ষিকার কাছ থেকে গোটা ট্যুরের ভাড়া হিসাবে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা চায় সংস্থা। সেইমতো শিক্ষিকা অগ্রিম বাবদ এক লাখ টাকা পাঠিয়েও দেয়। শিক্ষিকাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ২০ মে যাত্রা শুরু হবে। কিন্তু ১২ মে–এর পরও টিকিট না আসায় সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন স্কুল শিক্ষিকা। কিন্তু সুইচট অফ পাওয়া যায়। শিক্ষিকার পরিবারের সদস্যরা প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে যেখানে অফিসের ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল, সেখানেও যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
এই ঘটনার পর বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই স্কুল শিক্ষিকা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের কাছে এই একইরকম অভিযোগ অনেক জমা পড়েছে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, এর আগেও অনলাইনে জালিয়াতির খবর সামনে এসেছে। ফেক পেজ খোলা এখন কোনও ব্যাপারই নয়। দশ হাজার টাকা দিলেই নাকি হয়। তবে সবসময় একটা জিনিস দেখে নিতে হয় অ্যাবাউট অপশানে গিয়ে যে কতদিন ধরে ওই পেজটা অনলাইনে চলছে। কারণ, ফেক পেজ বেশিদিন চলে না।