স্কুল প্রায় দেড় বছর বন্ধ ছিল। স্কুলে এলে পড়াশোনা কিছুটা হত, স্কুল বন্ধ থাকায় সেই পড়াশোনাও কার্যত লাটে উঠেছিল। এদিকে বাড়ির অভাব দূর করতে সেই স্কুল পড়ুয়ারাই নানা কাজে লেগে পড়ে। এমনকী স্কুল, মাদ্রাসার একাধিক ছাত্র ভিনরাজ্যেও কাজে চলে গিয়েছে। এমন নজিরও রয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে ধরা পড়েছে সেই ছবি। আর সেই ছাত্রদের ফের স্কুলে ফেরানোটাই শিক্ষাদফতর ও প্রশাসনের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তারই নিরিখে এবার কার্যত দুয়ারে শিক্ষক পাঠাতে চাইছে শিক্ষা দফতর।
সূত্রের খবর রায়গঞ্জের রহটপুরে এক মাদ্রাসার একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র স্কুল বন্ধ থাকায় পঞ্জাবে কাজে চলে গিয়েছে। দিনমজুর বাবার আয়ে সংসার ঠিকঠাক চলত না। সেকারণে সংসারের অভাব দূর করতে পঞ্জাবের কারখানায় কাজ নিয়ে চলে গিয়েছে সে। তবে ওই ছাত্রের বাবা ইতিমধ্য়েই ছেলেকে ফেরানোর চেষ্টা করছেন। কারণ একটাই, স্কুল খুলে গিয়েছে।
অন্যদিক রসখোয়া হাইস্কুলের এক ছাত্রীও স্কুল বন্ধ থাকায় বিড়ি বাঁধার কাজ নিয়ে নিয়েছে। একাধিক ছাত্র বাজারে সবজি বিক্রি, রাস্তায় ফেরি করার কাজ নিয়েছে। এমনকী জমিতেও জনমজুরির কাজও শুরু করে দিয়েছে একাধিক ছাত্র। হেমতাবাদ, ভাটোল সহ বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী একাধিক গ্রাম থেকে ছাত্রছাত্রীরা বিশেষ স্কুলমুখো হতে চাইছে না। সেকারণেই তাদের স্কুলে ফেরানোর জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ফোনে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। একাধিক স্কুল থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রয়োজনে বাড়ি গিয়ে শিক্ষকরা এনিয়ে অভিভাবকদের বোঝাবেন যাতে তাঁরা সন্তানদের স্কুলে পাঠান। পাশাপাশি রোজ পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার জানানোর ব্যাপারেও শিক্ষা দফতর নির্দেশ দিয়েছে।