ওমিক্রনের আতঙ্কে কি রাজ্যে আবারও স্কুল ও কলেজ বন্ধ হতে চলেছে? সেই বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিলেন, সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে আবারও স্কুল এবং কলেজ বন্ধ রাখা হবে।
বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে মমতা জানান, দেশে আবারও মাথাচাড়া দিয়েছে করোনাভাইরাস। ওমিক্রনও হচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে স্কুল এবং কলেজ খোলা রাখা হবে কিনা, তা পর্যালোচনা করে দেখার জন্য শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘স্কুল-কলেজ খুলে রাখা হবে কিনা, তা নিয়ে রিভিউ কর। মাধ্যমিক পরীক্ষাও আছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাও আছে। সুতরাং একটু দেখে নাও। যাতে করোনার বিধি বজায় রাখা হয়।'
মমতা জানান, করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতি ওমিক্রনে ভয় পাওয়ার তেমন কোনও কারণ নেই। কিন্তু সংক্রমণের মাত্রা বেশি। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে। সংক্রমণ রোখার দায়িত্ব সবাইকে নিতে হবে। মেনে চলতে হবে করোনা বিধি। তাই বাইরে বেরোলেই স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। বাধ্যতামূলকভাবে পরতে হবে মাস্ক। পরে প্রশাসনিক কর্তাদের উদ্দেশে মমতা বলেন, 'কোভিড পরিস্থিতির দিকে নজর রাখ। যদি দেখ যে স্কুলে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে, তাহলে আবার আমরা কিছুদিনের জন্য ছুটি করে দেব। যেহেতু থার্ড ওয়েভটা (করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ) আসছে।’ তিনি জানান, সার্বিকভাবে বাংলার করোনা পরিস্থিতি এবং ওমিক্রনের পরিস্থিতির ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা কমানোরও নির্দেশ দেন মমতা। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, 'লোকাল ট্রেনের উপরও প্রভাব পড়বে। এখনই সব বন্ধ করতে যেও না। কিন্তু কিছুটা কমিয়ে দাও। জনগণের যাতে অসুবিধা না হয়, (সেটা মাথায় রাখতে হবে)। কারণ যাঁরা কলকাতায় যাবেন, তাঁদের রুজি-রোজগার দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। একটু দেখে নাও, কাদের হচ্ছে বেশি।' তারপরেই যোগ করেন, ‘ট্রেনটা এক্ষুণি কমাবে না, গঙ্গাসাগর মেলা আছে।’