রাত পোহালেই খুলে যাবে স্কুলের দরজা। আবার শুরু হবে অফলাইন পঠনপাঠন। তবে তার পরেই এসে পড়ছে সরস্বতী পুজো। তাই সরস্বতী দেব্বৌ নমঃ—বলতে উদ্যোগ নিতে চায় স্কুলের পড়ুয়ারা। তাতে সম্মতি দিয়েছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে একদিকে স্কুল খোলার প্রস্তুতি অন্যদিকে সরস্বতী পুজো করার প্রস্তুতিও তুঙ্গে উঠেছে। বৃহস্পতিবার থেকে খুলছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, এখন অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অফলাইন পঠনপাঠন চলবে। পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণির জন্য ‘পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয়’ হবে। তবে সরস্বতী পুজোর আগে আবার স্কুল খোলায় খুশি পড়ুয়ারা। স্কুল খোলার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আগামী ৪–৫ তারিখে সরস্বতী পুজোর ছুটি দেওয়া রয়েছে। ৩ তারিখ স্কুল খুললে ছেলেমেয়েরা সরস্বতী পুজো করতে পারবে।’
এখন শহর থেকে জেলায় স্কুল খোলার প্রস্তুতি এবং সরস্বতী পুজো নিয়ে মেতে উঠেছে পড়ুয়ারা। বেশ কয়েকজন শিক্ষক–শিক্ষিকারা জানাচ্ছেন, স্কুলে পুজোর প্রস্তুতি চলছে। ছাত্ররা পুজো নিয়ে মেতে উঠবে এটা দেখতেও আনন্দ লাগে। কতদিন পর সবাই এক হয়ে যাবো। বাঁশবেড়িয়া স্কুলের এক শিক্ষিকা জানান, এটা একটা নির্মল আনন্দ। শিক্ষক–ছাত্রছাত্রীরা এক হতে পারবে সেটা সত্যিই আনন্দের বিষয়।’
উল্লেখ্য, ‘পাড়ায় সমাধান’ এবং ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে। এবার স্কুল খুলে গেলে তাতে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এই কর্মসূচি চলে স্কুল চত্বরে। শহরে তা হয় না। সর্বত্রই এমন হয় না। এই ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির চলবে ১৫ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি। এই সব মিলিয়ে এখন চর্চা তুঙ্গে।
তবে এখন পড়ুয়ারা মনে করছেন, আগে বাণীবন্দনা হোক। অনেক স্কুল কর্তৃপক্ষের মতে, স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত আরও আগে নেওয়া হলে এই আয়োজন ভালোভাবে করা যেত। এখনো করা যাবে তবে নম নম করে। এতকিছুর পরও এখন একটাই আনন্দের বিষয, ছাত্রছাত্রী–শিক্ষক–শিক্ষিকা দেখা হবে। এই পুজো আবার সবাইকে আনন্দ দেবে।