বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান বঙ্গসন্তানের

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান বঙ্গসন্তানের

বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পেলেন বাঙালি। ছবিটি প্রতীকী (HT_PRINT)

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন সেই বঙ্গসন্তান। তাঁকে এই স্বীকৃতি দিয়েছে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। তাঁর গবেষণায় মুগ্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান দিয়েছে। এই বঙ্গসন্তানের নাম অরিন্দম মোদক। তিনি কালনার বাসিন্দা।

শক্তি ও পরিবেশ নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে গত এক বছরের মধ্যে তাঁর ১৯ টি পত্র প্রকাশিত হয়েছে। যার মধ্যে দুটির ওপর রয়েছে তাঁর পেটেন্ট। এবার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন সেই বঙ্গসন্তান। তাঁকে এই স্বীকৃতি দিয়েছে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। তাঁর গবেষণায় মুগ্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান দিয়েছে।

এই বঙ্গসন্তানের নাম অরিন্দম মোদক। তিনি কালনার বাসিন্দা। এই খবর পেতেই উচ্ছ্বসিত হয়েছেন তাঁর পরিবারের লোকেরা এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এত বড় সাফল্যের কথা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না চিন, জাপান, ইজরায়েলের মতো দেশে বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করে আসা অরিন্দম মোদক। তাঁর কথায়, 'বহু তাবড় বিজ্ঞানী যে তালিকায় নাম তুলতে বেগ পান, সেখানে স্থান পেয়ে প্রথমে চমকেই গিয়েছিলাম।'বর্তমানে দিল্লির আইআইটি তে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সিনিয়র সায়েন্টিস্ট হিসেবে কর্মরত অরিন্দম মোদক স্কুলের পড়াশোনা করেছিলেন কালনাতেই। কালনা মহারাজা বিদ্যালয় থেকে তিনি মাধ্যমিক পাস করেছিলেন ২০০০ সালে এবং তার দু'বছর পর ২০০২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। এর পরেই রসায়ন নিয়ে পড়ার জন্য খড়গপুর আইআইটিতে ভর্তি হন। সেখান থেকে স্নাতকোত্তর হওয়ার পর ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স থেকে পিএইচ ডি করেন।

রসায়নের প্রতি তার আগ্রহ তৈরি হয় স্কুল জীবন থেকেই। স্কুলের শিক্ষক অমল কুমার ও মানিকলাল গুহর সংস্পর্শে এসে তিনি রসায়ন নিয়ে পড়তে ব্যাপকভাবে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তাঁর এই কৃতিত্বের জন্য তিনি স্কুলের শিক্ষকদের অবদানকে দায়ী করেছেন। এর আগেও ওই স্কুলের এক ছাত্র বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন। বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পাওয়ার জন্য শনিবার স্কুলের পক্ষ থেকে অরিন্দমকে সংবর্ধনা জানানো হয়। মানুষের সুবিধার জন্য তিনি গবেষণা চালিয়ে যেতে চান বলে জানিয়েছেন। বাতাসে উপস্থিত হাইড্রোজেনকে কিভাবে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে তিনি গবেষণা করছেন বলে জানিয়েছেন।

বন্ধ করুন