প্রথম ডোজের শংসাপত্র ডাউনলোড করতে গিয়েছিলেন দম্পতি। শংসাপত্র ডাউনলোড হতেই তা দেখে হতবাক হয়ে যান ওই দম্পতি। তাঁরা দেখতে পারেন, দ্বিতীয় ডোজ না-নিয়েই শংসাপত্র জারি হয়ে গিয়েছে তাঁদের নামে!
এরপর দ্বিতীয় ডোজ নিতে গেলে বিপাকে পড়েন ওই দম্পতি। ভ্যাকসিন কেন্দ্রে সেই শংসাপত্রটি নিয়ে গেলে, দম্পতিকে ভ্যাকসিন দিতে অস্বীকার করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন ওই দম্পতি।কীভাবে দ্বিতীয় ডোজ না-নিয়েই তাঁদের শংসাপত্র জারি হল, রাজ্য সরকার ও স্বাস্থ্য দফতরের কাছে এই নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন ওই দম্পতি।
বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের জেমসপুর গ্রামে। এদিন ওই গ্রামের বাসিন্দা সূর্যকান্ত হালদার ও তাঁর স্ত্রী রিতা রানী হালদার স্থানীয় ভ্যাকসিন সেন্টারে গিয়ে লাইনে দাঁড়ান। সেই সময় তাঁদের প্রথম ভ্যাকসিনের রিসিভ কপিটা তুলে আনতে বলা হয়। সেইমতো ওই দম্পতি স্থানীয় একটি সাইবার ক্যাফেতে উপস্থিত হন। সেখানে যখন তাঁদের ফোন নাম্বার দিয়ে শংসাপত্র বার করা হয়, তখন দেখা যায়, দ্বিতীয় ডোজের শংসাপত্রও বেরিয়ে এসেছে।
সেই শংসাপত্রের প্রিন্টআউট বার করে পুনরায় তাঁরা ভ্যাকসিন কেন্দ্রে পৌঁছেন। ওই শংসাপত্র দেখেই ভ্যাকসিন কেন্দ্র থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে, তাই তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না। ঘটনার পর আতঙ্কিত ওই দম্পতি ক্যানিং মহকুমার অতিরিক্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক পরিমল ডাকুয়ার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ প্রসঙ্গে ক্যানিংয়ের অতিরিক্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক পরিমল ডাকুয়া জানান, দম্পতির অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যদি সত্যিই এরকম কোনও ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে তাঁরা কীভাবে দ্বিতীয় ভ্যাকসিনটি নিতে পারবেন, তার ব্যবস্থা করা হবে।