জীবনকৃষ্ণ সাহার দ্বিতীয় মোবাইল মিলছে না। অনেক কষ্টে প্রথমটি উদ্ধার হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আজ, রবিবার বড়ঞা ব্লকের সাবলদহ অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সাধন প্রামাণিকের নেতৃত্বে প্রায় ১০ জন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী–সমর্থক এবার বিধায়কের দ্বিতীয় মোবাইল ফোন তল্লাশির জন্য পুকুরে নেমে চিরুনি তল্লাশি শুরু করল। ঘটনাটি বিরল বলে মনে হলেও এটাই ঘটেছে। দ্বিতীয় মোবাইল ফোনের খোঁজ এখনও চালিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। পুকুর থেকে সেই ফোন খুঁজতে ডেকে পাঠানো হল সাবলদহ অঞ্চলের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সাধন প্রামাণিককে।
এদিকে ওই অঞ্চল সভাপতির দাবি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। আর বিধায়কের দ্বিতীয় মোবাইল ফোনটি খুঁজে দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছিল। তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। তবে শাসকদলের অঞ্চল সভাপতি হয়েও শাসকদলের বিধায়কের এই মোবাইল উদ্ধারের ঘটনায় যুক্ত হওয়া নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। টানা ৩৬ ঘণ্টা তল্লাশির পর একটি মোবাইল ফোন মিললেও দ্বিতীয়টি মিলছে না। এতক্ষণ কাদা জলের মধ্যে পড়ে থাকলে সেখান থেকে আদৌ কোনও তথ্য বের করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তাই অঞ্চল সভাপতির সাহায্য নেওয়া হয়।
তারপর ঠিক কী ঘটল? অন্যদিকে রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ মোবাইল খোঁজার জন্য ডাকা হয় অঞ্চল সভাপতি সাধন প্রামাণিককে। তার আগে প্রথম মোবাইল ফোন পেতেই জীবনকৃষ্ণকে দিয়ে পুনর্নির্মাণ করানো হয়। আর সেটা ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেন সিবিআই অফিসাররা। তার পরই অঞ্চল সভাপতির নেতৃত্বেই দ্বিতীয় মোবাইল খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৭ জন শ্রমিক মোবাইল ফোন খুঁজতে পুকুরে নেমেছে। বালতি করে পাক কাদা তোলা শুরু হয়েছে। তারপর সেই কাদা ঘেঁটে দেখা হচ্ছে মোবাইল আছে কিনা দেখা হবে।
আর কী জানা যাচ্ছে? ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা করা হচ্ছে হাতে দ্বিতীয় মোবাইল ফোনটি পাওয়ার জন্য। সেটি পেলেই জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে এই তদন্তের কাজ শেষ হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তাহলে সিবিআই কি গ্রেফতার করবে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে? যদিও এই নিয়ে কোনও উত্তর মেলেনি সিবিআইয়ের তরফে। তবে বিধায়ক সাক্ষর করেছেন পুনর্নির্মাণের নথিতে। সুতরাং আটঘাট বেঁধেই এগোচ্ছে সিবিআই বলে মনে করা হচ্ছে।