খাটের নীচে সুড়ঙ্গ। অনেকটা পুরনো দিনের কাহিনিতে যেমন থাকে তেমন আর কী। কুলতলিতে নকল সোনাকাণ্ডে অভিযুক্ত সাদ্দামের বাড়িতে পুলিশ অভিান চালানোর পরে এই সুড়ঙ্গের সন্ধান মেলে।
খাট সরাতেই বেরিয়ে এল সুড়ঙ্গ। সেই সুড়ঙ্গের মুখটা খুব একটা বড় নয়। তবে সেই সুরঙ্গের মুখে একটি গেটও রয়েছে। সেই সুরঙ্গ সোজা গিয়ে পড়েছে খালের জলে। আর সেই খালে রাখা থাকত ডিঙি নৌকা। পুলিশ তাড়া করলে সেই খালপথেই পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল অভিযুক্তদের। সেই খালের সঙ্গে যোগ রয়েছে মাতলা নদীর। সেই পথে বাংলাদেশে বা অন্য দ্বীপে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এদিকে ঘরের মধ্য়ে এই সুরঙ্গ দেখে কার্যত হতবাক পুলিশ কর্তারাও।
কীভাবে খোঁজ মিলল এই সুড়ঙ্গের?
সূত্রের খবর, কুলতলিতে নকল সোনার কারবার চলছে বলে পুলিশ খবর পেয়েছিল। এরপরই পুলিশ তদন্তে নামে। পুলিশ ওই গ্রামে গেলে পুলিশের উপর সাদ্দামের লোকজন চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এরপর পুলিশকে লক্ষ্য করে সাদ্দামের ভাই গুলি চালানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। পরে বিরাট পুলিশ বাহিনী এলাকায় যায়। ততক্ষণে বেপাত্তা সাদ্দাম ও তার সহযোগীরা। এরপর সাদ্দামের বাড়িতে যায় পুলিশ। আর সেখানে সাদ্দামের খাট সরাতেই বেরিয়ে এল সুড়ঙ্গ।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সুড়ঙ্গ একদিনে তৈরি হয়েছে এমনটা নয়। দিনের পর দিন সময় লেগেছে কংক্রিটের সুড়ঙ্গ তৈরি করতে। কিন্তু তারপরেও কেন জানতে পারল না পুলিশ? আর সেই সুড়ঙ্গে মুখটা খোলা রয়েছে। তারপরেও তা জানতে পারল না পুলিশ।
এদিকে অতীতে রাজা বাদশাহ, সুলতানদের বাসভবনে এই ধরনের সুড়ঙ্গের কথা শোনা যেত। সেসব সুরঙ্গে আজও অনেকের কাছে কৌতুহল জাগায়। কিন্তু এবার দেখা গেল কুলতলিতে সাদ্দার সর্দারের বাড়িতেও সুড়ঙ্গ।
কুলতলি থানার জালাবেড়িয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পয়তারহাট এলাকায় সাদ্দামদের বাড়ি। সেই বাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে একটি যন্ত্র। মনে করা হচ্ছে এই যন্ত্র দিয়ে ধাতু গলানো হত। আসলে লোক ঠকানোর জন্য নানা পদ্ধতি নিত সাদ্দামরা। অভিযোগ এমনটাই। বড় টিম কাজ করত। সোনা বলে ভুল বুঝিয়ে মানুষকে সর্বস্বান্ত করত তারা। সোনার মূর্তি, সোনার কয়েনের নাম করে এরা সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিত। পুলিশ সোমবার সকালে তাকে গ্রেফতার করতে যায়। সেই সময় পুলিশের উপর চড়াও হয় তারা। এরপর পুলিশ বিরাট বাহিনী নিয়ে এলাকায় যায়। আর সেই অভিযানে মিলল সুড়ঙ্গ।