সাবধান। যেভাবে সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করছিস তাতে তুই আমাদের আদালতে অপরাধী। মৃত্যুর জন্য তৈরি হবি। নীচে লেখা সিপিআই(মাওবাদী)। এভাবে প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকদের নিশানা করে পোস্টার। তবে শুধু মহকুমা শাসক নন, বরাবাজারের আইসি, ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে নিশানা করেও একের পর এক পোস্টার। লাল কালিতে বাংলায় লেখা অন্তত ৭টি পোস্টার উদ্ধার হয়েছে বরাবাজার এলাকা থেকে। সোমবার সকালে মাওবাদী লেখা এতগুলি পোস্টার উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, অতীতে এই সমস্ত এলাকায় মাওবাদীদের দাপট ছিল। তবে বর্তমানে সেই দাপট অনেকটাই কমেছে। তবে এদিন আচমকা শুকুরহুটু, উলদা মোড়, তিলাইডি, বানজোড়া, মানপুর, সিন্দরি ও চন্দনপুর এলাকা থেকে এই ধরনের পোস্টার উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। কোথাও ঘুষ নেওয়ার কথা উল্লেখ করে, কোথাও আবার বাসিন্দাদের হেনস্থা করার অভিযোগ তুলে একাধিক সরকারি পদস্থ আধিকারিকের বিরুদ্ধে সরাসরি মৃত্য়ু পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তবে এখানেই প্রশ্ন উঠছে এই পোস্টারগুলির পেছনে আদৌ কি মাওবাদীদের হাত রয়েছে? নাকি মাওবাদীদের নাম করে পোস্টার দিয়ে কেউ স্বার্থসিদ্ধি করার চেষ্টা করছে? তবে এর আগেও এলাকায় মাওবাদীদের নাম করে পোস্টার উদ্ধার করা হয়েছিল। এবারও পোস্টার উদ্ধারের জেরে পুলিশ নড়েচড়ে বসেছে। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।তবে পুলিশ ইতিমধ্যেই এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। জেলা পুলিশ কর্তাদের দাবি, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এগুলি মাওবাদী পোস্টার নয়। কেউ বা কারা মাওবাদীদের নাম করে পোস্টার দিয়েছে।