বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > দত্তপুকুরে উদ্ধার ১৫০ টন বাজি দূষণহীন পদ্ধতিতে নিষ্ক্রিয় করা হবে হলদিয়ায়

দত্তপুকুরে উদ্ধার ১৫০ টন বাজি দূষণহীন পদ্ধতিতে নিষ্ক্রিয় করা হবে হলদিয়ায়

নিষিদ্ধ বাজি নিষ্ক্রিয় করা হবে হলদিয়ায়। প্রতীকী ছবি

রাসায়নিক ব্যবহার করে এই সমস্ত বাজিগুলি বিস্ফোরণ না ঘটিয়ে রাসায়নিক ব্যবহার করে নিষ্ক্রিয় করা হবে। এর জন্য আগে বাজিগুলির নমুনা পরীক্ষা করা হবে। তারপর সেগুলি নিষ্ক্রিয় করার জন্য কোন ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হবে তা ঠিক করা হবে। সেইমতোই রাসায়নিক প্রস্তুত রেখে বাজিগুলি নিষ্ক্রিয় করা হবে।

দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের ঘটনার পরে অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। যার পরিমাণ হল প্রায় ১৫০ টন। এখন এই বাজিগুলি নিষ্ক্রিয় করা শুধু সময়ের অপেক্ষা। সাধারণত বাজি নিষ্ক্রিয় করার সময় দূষণ ছড়ায় বলে প্রায়ই অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই।নয়, কয়েক বছর আগে নৈহাটিতে বাজি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বিস্ফোরণের সময় বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল ধরেছিল। সেই কথা মাথায় রেখে উদ্ধার হওয়া এই সমস্ত বাজি দুষণহীন পদ্ধতিতে নিষ্ক্রিয় করা হবে। এর জন্য হলদিয়া পুর এলাকার শ্রীকৃষ্ণপুরের পশ্চিমবঙ্গ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা লিমিটেডকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সেখানে এই বাজিগুলি বিশেষ পদ্ধতিতে নিষ্ক্রিয় করা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, হলদিয়ার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা লিমিটেডে এর আগেও বিপুল পরিমাণে বাজি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: দত্তপুকুরে উদ্ধার ৬০ টন নিষিদ্ধ বাজি, নিষ্ক্রিয় করল বম্ব স্কোয়াড ও দমকল

কীভাবে নিষ্ক্রিয় করা হবে বাজি?

জানা গিয়েছে, রাসায়নিক ব্যবহার করে এই সমস্ত বাজিগুলি বিস্ফোরণ না ঘটিয়ে রাসায়নিক ব্যবহার করে নিষ্ক্রিয় করা হবে। এর জন্য আগে বাজিগুলির নমুনা পরীক্ষা করা হবে। তারপর সেগুলি নিষ্ক্রিয় করার জন্য কোন ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হবে তা ঠিক করা হবে। সেইমতোই রাসায়নিক প্রস্তুত রেখে বাজিগুলি নিষ্ক্রিয় করা হবে। তবে শুধু এখানেই শেষ নয়, বাজি নিষ্ক্রিয় করার সময় কোনওভাবে ভূগর্ভস্থ জল, মাটি বা বায়ু দূষিত না হয় তার জন্য একটি পুকুর কাটা হবে। পুকুর কাটা হলে মাটির উপর স্তরে একটি বিশেষ পদার্থের আচ্ছাদন দেওয়া হবে। তার ওপরেও একইভাবে আরও একটি আচ্ছাদন দেওয়া হবে। যাতে প্রথমটি ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় আচ্ছাদন অক্ষুন্ন থাকে তার জন্য দুটি লেয়ার দেওয়া হবে ওই পদার্থের। এরপর বাজির মশলার সঙ্গে রাসায়নিক মিশিয়ে সেটিকে আবার একটি আচ্ছাদন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে। এভাবেই সেখানে বাজি নিষ্ক্রিয় করা হবে। সূত্রের খবর, এখানে শুধু বাজিই নিষ্ক্রিয় করা হয় না। কারখানার বর্জ্য, নার্কোটিক্স দফতরের বাজেয়াপ্ত হওয়া হেরোইন, ব্রাউন সুগার, গাঁজা প্রভৃতি এখানে বিশেষ পদ্ধতিতে নষ্ট করা হয়। এছাড়া করোনাকালের বর্জ্য এই কারখানাতে নষ্ট করা হয়েছিল। 

পরিবেশবিদরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের পদ্ধতিতে দূষণের কোনও আশঙ্কা নেই। একই কথা জানিয়েছেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক আধিকারিক। তাঁদের বক্তব্য, বাজিতে যে সমস্ত রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় তাতে দূষণ বাড়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু এই পদ্ধতিতে দুষক আলাদা করা হয়। এতে দূষণের সম্ভাবনা থাকে না।

 

বন্ধ করুন