২০২১-এর নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটে যুক্ত হয়েছিল সদ্য তৈরি হওয়া দল আইএফএফ। সেই নির্বাচনে জোটের সাফল্য বলতে ছিল মূলত আইএসএফ-এর একটি আসন। তার পর জোট চর্চা কিছু ফিকে হয়ে গেলেও তা নতুন করে মাথা চাড়া দেয় সাগরদিঘি উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে। সেখানে সরাসরি জোট ঘোষণা করে লড়াই না হলেও কংগ্রেস প্রার্থীকেই সমর্থন জানিয়েছিল সিপিএম। সেই ভোটে জয়লাভ করে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। সেই সাফল্য ফের নতুন করে আশা যুগিয়েছে বাম-কংগ্রেস জোটকে। বৃহস্পতিবার আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোটের বার্তা নিয়ে সিইড়ির বেণীমাধব স্কুলের মাঠে হাজির হলেন কংগ্রেস নেতা অধীর ও সিপিআইএম নেতা মহম্মদ সেলিম। কিন্তু সেই মঞ্চে দেখা গেল না আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বা দলের কোনও প্রতিনিধিকে। তবে কি জোট বাদ পড়ল আইএফএফ?
মঞ্চে অধীর চৌধুরী বলেন, 'বামেদের সঙ্গে বিরোধিতা ছিল। তখন তৃণমূলকে সমর্থন করেছিলাম। এখন তৃণমূলকে তাড়াতে হবে তাই বামেদের সঙ্গে জোট করেছি। এর মধ্যে কোনও চালাকি নেই।' প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেন, 'মোদি ও দিদি এক। কর্নাটকের ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিতে বললেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিদির এখন শুধু ধ্যান জ্ঞান খোকাবাবু।'
কার্যত একই সুরে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, 'একদিকে মোদির লুট চলছে, অন্য দিকে দিদির লুট। ১০০ দিনে ২৭ দিনও কাজ হচ্ছে না। পুলিশ এখানে চোরেদের পাহারা দিচ্ছে।' তিনি আরও বলেন,'রাজ্যের খেটে খাওয়া মানুষ একজোট হচ্ছে। অবাধ ভোট হলে তৃণমূলের বিপদ আছে।'
(পড়তে পারেন। শুভাদার চাহিদা মিটছে না, আসরে নামলেন সায়নী, কবে জন্ম? প্রশ্ন চিত্রশিল্পীর )
সিউড়ির সভা মঞ্চে দেখা যায়নি বিধানসভা নির্বাচনে জোটসঙ্গী আইএসএফ-কে। এই সভায় তাদের আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। এই না ডাকা নিয়ে ক্ষুব্ধ আইএসএফ নেতারা। বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি সাংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সিউড়ির সভার আমন্ত্রণ জানিয়ে কেন্দ্রীয় দফতরে কোনও আমন্ত্রণ পত্র আসেনি। সে কারণে কেউ যায়নি। তিনি নিজেরও জানতে না কোনও সভার কথা। পঞ্চাতেয় নির্বাচন নিয়েও কোনও আলোচনা হয়নি।
সিউড়িতে জোটের সভা প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন,'সাইবাড়ি, ধানতলা, বানতলার গণহত্যাকারীরা মিলেমিশে একাকার। নব্বয়ের দশকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতেন, কংগ্রেস, সিপিএম এক। আজ সেটাই প্রতিষ্ঠিত ও প্রমাণিত। '
(পড়তে পারেন। অভিষেকের নব জোয়ার মিটতেই মালদায় BJPতে যোগ দিলেন ১০০ জন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ)