অনলাইনে প্রতারণার শিকার হয়ে লক্ষাধিক টাকা হারালেন এক সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার নব বারাকপুরে। ঘটনার জেরে ভেঙে পড়েছেন দিব্যেন্দু বিশ্বাস নামে ওই বৃদ্ধ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ব্যাঙ্ক ও নব বারাকপুর থানার পুলিশ।
দিব্যেন্দুবাবু জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে তাঁর কাছে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনে দাবি করা হয়, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের নব বারাকপুর শাখা থেকে বলছেন তিনি। দিব্যেন্দুবাবুর এটিএম কার্জের মেয়াদ ফুরাতে চলেছে। কার্ডটি চালু রাখতে বুধবার আধার কার্ড নিয়ে ব্রাঞ্চে দেখা করতে হবে। তবে তার আগে ফোনে কয়েকটি ওটিপি জানাতে হবে তাঁকে।
নব বারাকপুর ব্রাঞ্চ থেকে ফোন করছেন শুনে সন্দেহ হয়নি দিব্যেন্দুবাবুর। কারণ ওই ব্রাঞ্চেই রয়েছে তাঁর অ্যাকাউন্ট। এর পর ফোনের উলটো দিকে থাকা ব্যক্তিকে ওটিপি বলে দেন বৃদ্ধ। সঙ্গে সঙ্গে কয়েক ধাপে অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যায় ১.২০ লক্ষ টাকা।
টাকা খোয়া গিয়েছে বুঝে ব্যাঙ্কে ছোটেন দিব্যেন্দুবাবু। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার তাঁকে জানান, প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি। ব্যাঙ্কের তরফে কোনও দিন কারও কাছে OTP জানতে চাওয়া হয় না। এর পর নব বারাকপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বৃদ্ধ। মোটা টাকা খুইয়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন তিনি।
সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওটিপি এমন একটি জিনিস যা কখনও কাউকে জানানো উচিত নয়। ওটিপি হলে তালার চাবির মতো। আর কাউকে ওটিপি জানিয়ে দেওয়ার কারণে কোনও প্রতারণা হলে তার দায়ও ব্যাঙ্কের নয়। তবে প্রশ্ন উঠছে বৃদ্ধে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য কী করে পেল প্রতারকরা?