তৃণমূল কংগ্রেসের একুশে জুলাইয়ের অনুষ্ঠানের আগেই দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক রদবদল হতে পারে বলে সূত্রের খবর। আর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া প্রায় চূড়ান্ত দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি ও দু’বারের বিধায়ক শঙ্কর মালাকারের। তিনি একদিকে প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতিও। অন্যদিকে এআইসিসি সদস্য। বৃহস্পতিবার কলকাতায় তৃণমূল ভবনে তাঁর যোগদান হতে পারে বলে সূত্রের খবর। অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে দেখে তিনি এই পথ ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন। শঙ্কর মালাকার বেরিয়ে গেলে তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে ওখানের সংগঠনের দায়িত্ব দেবে বলেও খবর।
আজ, বুধবার কলকাতা পা রাখার কথা শঙ্করের। জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের নেতা গৌতম দেবও এখানে আসছেন। শঙ্কর মালাকার সৌমেন মিত্রের বরাবর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। বারবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব গৌতম ও শঙ্করকে যৌথভাবে জেলা সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের সংগঠন ওখানে আর থাকবে না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
শিলিগুড়ি শহর এবং পুরসভা দায়িত্ব গৌতমকে, আর গ্রামীণ এলাকা, মহকুমা পরিষদের দায়িত্ব শঙ্করকে দেওয়া হতে পারে। তবে কাকে–কোথায় বসানো হবে তার সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর। কারণ মিশন ২০২৪। লোকসভা নির্বাচনে আরও আগ্রাসী ভূমিকা তৃণমূল কংগ্রেস নেবে তা পরিষ্কার। সেখানে উত্তরবঙ্গের ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উত্তরবঙ্গে বরাবর ভাল ফল করে আসছে বিজেপি। সেখানে এই ঘটনা ঘটলে চাপে পড়বে গেরুয়া শিবির। গৌতম–শঙ্কর জোড়া আক্রমণে পদ্মে কাঁটা তৈরি হবে বলেই মনে করছেন ঘাসফুল শিবিরের নেতারা।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে থেকেই মাটিগাড়া–নকশালবাড়ির বিধায়ক হন শঙ্কর মালাকার। ২০১৬ সালে তিনি সিপিআইএম–কংগ্রেসের জোটের প্রার্থী হয়েও জেতেন। এবার অবশ্য তিনি তৃতীয় স্থানে ছিলেন। শঙ্করের সঙ্গে দিল্লির নেতানেত্রীদেরও ভাল যোগাযোগ। জেলা সভাপতি হিসাবে গ্রাম ও শহরের মানুষজনের সঙ্গে যোগাযোগও রয়েছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তাঁকে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে শঙ্কর মুখ খুলতে নারাজ।