মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রেলের ইনস্পেকশন কারের ধাক্কায় প্রাণ গেল রেলেরই এক কর্মীর। ঘটনাটি ঘটেছে কৃষ্ণনগর সেকশনে কল্যাণীর কাছে। মৃত রেলকর্মীর নাম অশোক বিশ্বাস (৪৫)। তিনি শিয়ালদা ডিভিশনের সিগন্যাল কনস্ট্রাকশন বিভাগের সিনিয়র টেকনিশিয়ান ছিলেন। এই ঘটনায় রেলের অধিকারীকদের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রেলের কর্মীরা। দুর্ঘটনার পরে শিয়ালদার এডিআরএম এবং অনন্য আধিকারিকরা ইনস্পেকশন কার থেকে নামেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
রেল সূত্রে খবর, গত শুক্রবার শিয়ালদা ডিভিশনের এডিআরএম রেলের অন্যান্য আধিকারিকের সঙ্গে ইন্সপেকশন কারে রেললাইন পরিদর্শন করছিলেন। সেই সময় সিনিয়র টেকনিশিয়ান অশোক বিশ্বাস লাইনে সমীক্ষার কাজ করছিলেন। তখনই ইনস্পেকশন কারে কাটা পড়ে তার শরীর ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
রেলের কর্মী সংগঠনের অভিযোগ, একজন মানুষ মারা গেল অথচ সে বিষয়টি মোটরম্যান এবং অন্যান্য আধিকারিকদের নজরে আসল না তা হতে পারে না। রেলওয়ে মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষের অভিযোগ, এক কর্মী কাটা পড়েছে দেখেও ইনস্পেকশন কার না থামিয়ে এডিআরএম এবং রেলের অন্যান্য আধিকারিকরা অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তাদের আরও অভিযোগ, সাধারণত সিনিয়র টেকনিশিয়ানের সঙ্গে একজন কর্মী থাকার কথা। কিন্তু, সেটাও ছিল না। সে ক্ষেত্রে রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন কর্মীরা।
সম্প্রতি শিয়ালদা নারকেলডাঙ্গা কারশেডে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে রেলের এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া শ্রীরামপুরে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল এক কর্মীর। এই সমস্ত ক্ষেত্রে আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিরূপ মনোভবের অভিযোগ তুলেছেন রেলের কর্মীরা। তবে এদিনের ঘটনায় এডিআরএম নিজেই ছিলেন তার পরেও সে ক্ষেত্রে কেন রেলের ওই কর্মীকে একবার দেখা হল না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন দ্রুতই ওই টেকনিশিয়ানের পরিবার ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের একজন অনুকম্পাজনিত চাকরি পেয়ে যাবেন।