পেট্রল, ডিজেলের দাম বেড়েছে। কিন্তু় বাস ভাড়া বাড়ায়নি রাজ্য। তাই রাস্তা থেকে বাস তুলে নিচ্ছেন অনেক বাস মালিকরা। ফলে রাস্তায় অনেক রুটের বাসেরই দেখা মিলছে না। স্বভাবতই সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। যে বেসরকারি বাসগুলি চলছে, তাতেও ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বাস মালিকদের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতির আগে রাজ্যে ৪০ থেকে ৪২ হাজার বাস চলত। এর মধ্যে কলকাতায় চলত ৭ হাজার বাস। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জেরে ও পেট্রল–ডিজলের দাম অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ার ফলে অনেক রুটের বাসই এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় বেড়াচাঁপা থেকে বারাসত, চাকলা থেকে বারাসত রুটের বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে বারাসত থেকে ঘটকপুকুর ডিএন ১৬ রুটের বাসও। এছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন রুটের বাস পরিষেবাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শিরাকোল থেকে মুকুন্দপুর এসডি ১৬ রুটের বাস পরিষেবাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বেশ কয়েকটি রুটের বাস পরিষেবা তো প্রায় বন্ধ হওয়ার মুখে। এর মধ্যে রয়েছে আমতলা থেকে সল্টলেক ২৩৫ নম্বর রুট, চেতলা থেকে হাওড়া ১৭ নম্বর রুট, ফলতা থেকে বাবুঘাট ৮৩ নম্বর রুটের মতো বাস পরিষেবা। বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের তরফে জানানো হয়েছে, করোনার আগে যেখানে ধর্মতলা রুটে ৭০টি বাস চলত, সেই সংখ্যা এখন নেমে এসে দাঁড়িয়েছে ৩০টিতে। শুধু কলকাতা ও তাঁর আশেপাশের এলাকাতেই নয়, দুই মেদিনীপুর, রায়গঞ্জ, মালদহ ও কোচবিহার খুবই কম সংখ্যক বাস এখন রাস্তায় চলছে।
বাস মালিক সংগঠনগুলির দাবি, পেট্রল, ডিজেলের ভাড়া বাড়লেও বাস ভাড়া বাড়েনি। করোনা পরিস্থিতিতে অনেক বাসেই বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছিল। সরকার থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, অতিরিক্ত ভাড়া আর নেওয়া যাবে না। ফলে লোকসানের জেরে অনেক রুটের বাসই বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন বাস মালিকরা। একের পর এক বাস রাস্তা থেকে উধাও হয়ে যাওয়ায় এর খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। ফলে অফিসে বা যে কোনও গন্তব্যে পৌঁছোতে রীতিমতো নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।