হাতে আর পাঁচদিন। তারপর আগামী ২৮ মার্চ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দিতে আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাই তাঁর নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে জোরদার তৎপরতা শুরু হয়েছে গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখন এখানে বন দফতর ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার স্বার্থে। কিন্তু বিশ্বভারতীতে বন দফতরের কর্মীরা কেন? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর তখনই জানা গেল, বিশ্বভারতীতে সাপের উপদ্রবই অন্যতম চ্যালেঞ্জ। একাধিক বিষাক্ত সাপ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। তাই আজ, বৃহস্পতিবার থেকে বন দফতরের একটি টিম থাকবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাহারায়।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? বন দফতর সূত্রে খবর, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নানা বিষধর সাপ রয়েছে। যা রাতে আনাগোনা করে। দিনের বেলায় বিশ্ববিদ্যালয় গমগম করে। তাই তখন বেরিয়ে আসে না। কিন্তু রাত হলেই সাপের যাতায়াত শুরু হয়। এমন বহু প্রমাণ পেয়েছেন মানুষজন। তাই রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তায় ঘাটতি না রাখতে এখন থেকেই পুলিশ এসে হাজির হয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন ডিরেক্টর অফ সিকিউরিটি। রবীন্দ্রভবন সংলগ্ন নানা এলাকা পরিদর্শন করতেই বিষধর সাপের উপস্থিতি নজরে আসে তাঁদের। তখন বন দফতরকে খবর দেওয়া হয়। এবার বন দফতরের টিম এখানে থাকবে।
আর কী জানা যাচ্ছে? বিশ্ববিদ্যালয়ের যেখানে রাষ্ট্রপতি যাবেন সেখানে পুলিশ কর্তারা ঘুরে দেখেন। রবীন্দ্রভবনের অতিথিশালা থেকে শুরু করে শ্যামলী, কোনার্ক, উদয়ন, লালবাঁধ, পম্পা লেক এলাকাগুলিতে প্রচুর ঝোপজঙ্গল রয়েছে। এখানে সূর্যের আলো পড়ে না। তাই জায়গাগুলি স্যাঁতসেতে। এখানেই সাপের আশ্রয়স্থল গড়ে উঠেছে। সাপের উপস্থিতি দেখে নিরাপত্তা আরও নিশ্ছিদ্র করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।আর বিষয়টি জানিয়েই বন দফতরকে খবর দেওয়া হয়। তাই বনদফতরের আধিকারিকরা বিশ্বভারতীতে উপস্থিত হন।
ঠিক কী বক্তব্য বন দফতরের? আজ, বৃহস্পতিবার এডিএফও শ্রীকান্ত ঘোষ নিজে গিয়ে বন দফতরের টিম নিয়ে বিশ্বভারতীতে পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি নিজে গিয়েছিলাম পরিদর্শনে। উদয়ন, কলাভবনের বেশ কিছু জায়গায় সাপ আছে। আজ বন দফতরের একটা টিম বিশ্বভারতীতে পৌঁছেছে। যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার সব নেওয়া হবে। আজ থেকে রাষ্ট্রপতির সফর শেষ হওয়া পর্যন্ত বিশ্বভারতীতে থাকবে টিমটি। আমাদের দিক থেকে সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup