বিক্ষুব্ধ হলেই দলে দলে ঘাসফুল শিবির থেকে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করার একাধিক নজির রয়েছে। আর প্রতিবারই তার ভয়াবহ মাসুল গুনেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। ভোট মিটে যাওয়ার পরে ফের সেই বিক্ষুব্ধদের অনেকেই ফিরে যান গেরুয়া শিবিরে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই প্রবনতা দেখা দিয়েছিল। তবে এবার অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েছে বিজেপি।
দল সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলের কাছ থেকে টিকিট না পেয়ে অনেকেই বিজেপিতে এসে টিকিট চাইতে পারেন। এক্ষেত্রে আপাতত বিজেপির তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এলেই টিকিট দেওয়া হবে না।
দলের অন্দরমহল সূত্রে খবর, এভাবে তৃণমূল থেকে এলেই টিকিট দেওয়া হলে দলের মধ্যেও সমস্যা তৈরি হয়। সেকারণে এব্যাপারে সতর্ক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় বিজেপির অন্দরে এনিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ঝাড়াই, বাছাই করেই বিজেপিতে নেওয়া হবে। অন্যদিকে দলীয় নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, সিবিআই ও ইডির প্রসঙ্গে যেন জেলাস্তরের নেতারা মন্তব্য না করেন সেব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।
ইডি ও সিবিআইয়ের তদন্ত সম্পর্কিত ব্য়াপারে যা কিছু বলার রাজ্য় ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলবেন বলেও নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। দলের একাংশের মতে, তৃণমূলের একাধিক নেতা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু এনিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে দলকে যাতে কেউ না বিপাকে ফেলেন সেব্যাপারে বিজেপির তরফে দলের নীচুতলায় সতর্ক করা হয়েছে।
তবে দলীয় নির্দেশিকা নিয়ে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা নেতৃত্ব প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি।