প্রতিষ্ঠা দিবসের ঠিক প্রাক–মুহূর্তে চাকদহ ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসে বড় ভাঙন ধরল। চাকদহ পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি দফতরের কর্মাধ্যক্ষ প্রীতি মণ্ডল বিজেপিতে যোগ দিলেন।পুরনো বছরের শেষ লগ্নে চাকদহ ব্লকের চান্দুরিয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান সদস্য প্রভাস চন্দ্র ওরফে গোপাল তামলী, ওই অঞ্চলের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি এবং প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য বিদেশরঞ্জন বিশেয়া–সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূলকর্মীও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
দলীয় সূত্রে খবর, কলকাতায় বিজেপির কার্যালয়ে গিয়ে তাঁরা যোগদান করেছেন। সুতরাং এই জেলার সংগঠন নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বড় সমস্যায় পড়তে হবে বলে অনেকেই মনে করছেন। দলের সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি মুকুল রায়, বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের উপস্থিতিতে তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এখানেই নতুন বছরে সভা করতে আসার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। তার আগে দল ভাঙিয়ে তৃণমূলকে দুর্বল করা হল বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি চলতি বছরেই বিধানসভা নির্বাচন। তাই ফসল ঘরে তোলার কাজ শুরু করেছে বিজেপি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রীতি মণ্ডল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রকল্প আমার খুব ভাল লাগে। আমার মনে হয়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের উপকার হতে পারে। তাই আমি বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। দলত্যাগের পেছনে অন্য কোনও কারণ নেই।' নদিয়া দক্ষিণ জেলা বিজেপি সহ–সভাপতি পঙ্কজ বসু বলেন, ‘তারা আমাদের দলে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। ওদের দলে গ্রহণ করা হয়েছে।’
তৃণমূলের সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য তীব্রজ্যোতি দাস বলেন, ‘ওরা চলে যাওয়ায় দলের মুখ আরও উজ্জ্বল হয়েছে। এতে দলের ভালোই হবে। আমি যত দূর শুনেছি, ওদের সঙ্গে কেউ যায়নি। ওরা একাই গিয়েছে। এতে কোনও ক্ষতি হবে না। এবার বিজেপি বিপদে পড়বে। সেটা দেখা যাচ্ছে।’