বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Love Affairs: পাঁচ যুবতীর সঙ্গে চুটিয়ে প্রেমপর্ব, তমলুক থেকে গ্রেফতার ‘‌সেক্স চ্যাট’‌ প্রেমিক

Love Affairs: পাঁচ যুবতীর সঙ্গে চুটিয়ে প্রেমপর্ব, তমলুক থেকে গ্রেফতার ‘‌সেক্স চ্যাট’‌ প্রেমিক

পাঁচজন যুবতীর সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম যুবক গ্রেফতার

ওই যুবক একটি ফুটবল টিমের সদস্য। পূর্ব ময়না, নন্দকুমার, পাঁশকুড়া, তমলুক, কোলাঘাটে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট হলে ওই টিমে অংশ নেয়। ফুটবল টুনামেন্টে গিয়েই যুবতীদের ফুঁসলিয়ে মোবাইল নম্বর নিত। এখনও পর্যন্ত ময়না থানা এলাকার পাঁচ প্রেমিকার হদিশ পেয়েছে পুলিশ।

ময়না, পাঁশকুড়া, তমলুক–সহ পূর্ব মেদিনীপুরের নানা জায়গায় ফুটবলার হিসাবে নাম কিনেছিল এলাকার যুবক শেখ আনোয়ার। ময়না থানার শ্রীকণ্ঠা গ্রামের বাসিন্দা যুবক আনোয়ার (‌২২)‌। এই সুনাম এবং ফুটবল স্কিলকে হাতিয়ার করেই একসঙ্গে পাঁচজন যুবতীর সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছিল সে। অবশেষে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের মেয়ের সঙ্গে প্রেম করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেল সে। পুলিশ তার মোবাইল ঘেঁটে দেখতে পায়, একাধিক মেয়ের সঙ্গে সেক্স চ্যাট করে আনোয়ার। এবার ময়না থানা ওই গুণধর ‘খিলাড়ি’ প্রেমিককে থানায় তুলে আনল। আর তার পাঁচ প্রেমিকাকেও থানায় হাজির করা হল।

ঠিক কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ?‌ এই ঘটনা প্রকাশ্যে পুলিশ নিয়ে আসার পর ময়না থানার ওসি গোপাল পাঠক বলেন, ‘‌ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। একসঙ্গে পাঁচটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিল। তাঁদের সেক্স চ্যাট করত। শুক্রবার তমলুক সিজেএম আদালতে তোলা হবে।’‌ পুলিস সূত্রে খবর, ওই যুবক একটি ফুটবল টিমের সদস্য। পূর্ব ময়না, নন্দকুমার, পাঁশকুড়া, তমলুক, কোলাঘাটে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট হলে ওই টিমে অংশ নেয়। ফুটবল টুনামেন্টে গিয়েই যুবতীদের ফুঁসলিয়ে মোবাইল নম্বর নিত। এখনও পর্যন্ত ময়না থানা এলাকার পাঁচ প্রেমিকার হদিশ পেয়েছে পুলিশ। প্রেমিকার সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ধৃতকে এনিয়ে জেরা করা হচ্ছে। ওই পাঁচ কিশোরীর মধ্যে চারজন একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। পরিচয় গোপন করে প্রেম করত শেখ আনোয়ার।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ কোন কৌশলে এতগুলি মেয়েকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়েছিল আনোয়ার সেটাই জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। গুণধর প্রেমিককে থানায় পাঁচ যুবতীর সামনে হাজির করে দেওয়ায় হতবাক হয়ে যায় সবাই। প্রত্যেকেই অভিযোগ করেছে, ওই যুবক বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রেম করেছে। সেক্স চ্যাট করেছে। বোল্ড ছবি পাঠাতে বলেছে। এই আনোয়ার একজনের কাছে প্রদীপ, আবার অন্যজনের কাছে প্রভাত নাম বলে প্রেমে ফাঁসিয়েছে। একটি মেয়ের সঙ্গে চার বছরের সম্পর্ক তৈরি করেছে আনোয়ার।

কেমন করে প্রকাশ্যে এল ঘটনাটি?‌ এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের মেয়ে ইদানীং মোবাইলে খুব ব্যস্ত থাকত। স্মার্টফোনে আসত ভিডিয়ো কল। এসব দেখে সন্দেহ হয় সিভিক ভলেন্টিয়ারের। তিনি মেয়ের ফোন থেকে যুবকের নম্বর বের করেন। ফোন নম্বরের সূত্র ধরে থানার ওসিকে সবটাই জানান। তারপর যুবকের ফোন বাজেয়াপ্ত করে ঘাঁটতে গিয়ে বিস্তর প্রেম কাহিনী সামনে আসে। আপাতত শ্রীঘরে রয়েছে ওই গুণধর প্রেমিক। তবে প্রত্যেক প্রেমিকাই প্রেম ভাঙার হতাশাকে সঙ্গী করে বাড়ি ফিরেছেন।

বন্ধ করুন