রাত বাড়তেই শুরু হয়েছিল ঝুমঝুম শব্দ। নীলাভ আলোয় তখন তুঙ্গে যৌন চাহিদা। একের পর এক অন্তর্বাস খুলে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। হোটেলে তখন চরমে উঠেছে মধুচক্র। আর এই গোপন খবর পেয়েই সেখানে হানা দিল পুলিশ। বুধবার মাঝরাতে এভাবেই হুগলির পাণ্ডুয়ার খন্যানে পুলিশের জালে ধরা পড়ল উদ্দাম তরুণী–যুবকদের দল। পুলিশ ওই হোটেলটি থেকে পুরুষ–মহিলা–সহ মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে।
ঠিক কী ঘটেছে হুগলিতে? স্থানীয় সূত্রে খবর, খন্যান এলাকাটি জিটি রোডের ধারে। এখানের এই পানশালায় কিছুদিন ধরে বসছিল মধুচক্রের আসর। বাইরে থেকে আসত তরুণীরা। আর আগাম যুবক ক্লায়েন্টদের বুক করে ফেলা হতো। তারপর রেড কার্পেটের উপর নষ্ট রাতের হিল্লোল উঠত। সঙ্গে থাকত হালকা সুরের মুর্ছনা। হুইস্কির গ্লাসে চুমুক দিয়ে টানটান বিছানা রঙিন হয়ে উঠত।
কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে মগরা এবং পাণ্ডুয়া থানা যৌথভাবে অভিযান চালায়। পানশালায় প্রবেশ করতেই সেই সুরের মুর্ছনা কানে আসে তাঁদের। তারপর একের পর এক ঘরে তল্লাশি চালিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় গ্রেফতার করা হয় ৬ তরুণী এবং ৪ পুরুষ–সহ মোট ১০ জনকে। গ্রেফতার হওয়া তরুণীরা কেউই স্থানীয় এলাকার নয়।
কীভাবে চলত পানশালার অন্দরে মধুচক্র? সূত্রের খবর, এখানে যাঁরা মদ্যপান করতে আসতেন তাঁদের টেবিলে পৌঁছে দেওয়া হতো তরুণীদের হট ছবি। সেখানেই পছন্দ হয়ে গেলে তারপর গোটা ব্যবস্থা করে দেওয়া হতো। পছন্দ হওয়া তরুণীদের ফোনে খবর দিয়ে দেওয়া হতো। আর তারা হোটেলে পা রাখলেই ঘর চিনিয়ে দেওয়া হতো। ভারী হিল জুতোর শব্দে তখন কাঁপছে মাটি। এই চক্রের সঙ্গে পানশালার মালিকও জড়িত বলে পুলিশ তার খোঁজ চালাচ্ছে। পানশালার দুই কর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।