বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Srikanta Mahato: অভিষেক, মমতা, বক্সিকে বলে লাভ হয়নি, দল চোরেদের কথা শোনে, বিস্ফোরক দাবি মন্ত্রীর

Srikanta Mahato: অভিষেক, মমতা, বক্সিকে বলে লাভ হয়নি, দল চোরেদের কথা শোনে, বিস্ফোরক দাবি মন্ত্রীর

ক্রেতা সুরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো। ফাইল ছবি

তৃণমূল সূত্রে খবর, শনিবার এই ভিডিয়ো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছয়। সঙ্গে সঙ্গে শ্রীকান্ত মাহাতোকে শোকজ করার নির্দেশ দেন তিনি। অভিষেকের নির্দেশে তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতি শ্রীকান্ত মাহাতোকে ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।

ঘরোয়া সভায় দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে শো-কজের মুখে রাজ্যের ক্রেতাসুরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো। গত শুক্রবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র শালবনিতে এক ঘরোয়া সভায় তিনি মন্তব্য করেন, লোকে বলছে এই ক্যাবিনেটের সবাই চোর। পার্টি চোর – ডাকাতদের কথা শুনছে। এরকম চললে বসে যেতে হবে। এর পরই তাঁকে শো কজ করে দল। তৃণমূলের দাবি, ওই মন্তব্যের জন্য রবিবার সকালে লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন মন্ত্রী। কিন্তু তাতে বিতর্ক থামছে না।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, শ্রীকান্তবাবু বলছেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সুব্রত বক্সি, তারা বুঝতে চায়নি। খারাপ লোকদের তারা ভালো লোক বলছে। খারাপ লোককে তো খারাপ লোক বলতে হবে। আর ভালো লোককে ভালো লোক বলতে হবে। জুন মালিয়া, সায়নী, সায়ন্তিকা, মিমি, নুসরত, যারা লুটেপুটে খাচ্ছে এরা যদি সম্পদ হয় তাহলে তো পার্টি করা যাবে না। ওই ক্যাবিনেটে সবাই চোর। লোকে বলছে তো। চোরেদের কথা শুনবে পার্টি, তাই না? আমরা এখানে বসে থাকব আর দিল্লি, বোম্বাই, চেন্নাই, কলকাতার লোক টাকা করবে। এরকম চললে তো পার্টি ছেড়ে দিতে হবে। নইলে সামাজিক আন্দোলন করতে হবে’।

পুজোর আগে এসপ্লানেড-খিদিরপুর রুটে পুনরায় ট্রাম চালু হওয়া নিয়ে সংশয়

তৃণমূল সূত্রে খবর, শনিবার এই ভিডিয়ো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছয়। সঙ্গে সঙ্গে শ্রীকান্ত মাহাতোকে শোকজ করার নির্দেশ দেন তিনি। অভিষেকের নির্দেশে তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতি শ্রীকান্ত মাহাতোকে ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। রবিবার সকালে অজিতবাবু জানান, শোকজ পেয়েই নিজের মন্তব্যের জন্য লিখিতভাবে দলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন শ্রীকান্ত মাহাতো।

শ্রীকান্ত মাহাতোর মন্তব্য নিয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ‘উনি সত্যি কথা বলেছেন। আর সত্যি কথা বললে তৃণমূলে এই হালই হয়। তৃণমূলে ৯৮ শতাংশ চোর। আর যে ২ শতাংশ যারা সৎ রয়েছেন তারা চুরির দায় নিতে চাইছেন না। আমি তাদের বলব, চোরেদের দল ছেড়ে সততার পথে আসুন।’

এই নিয়ে সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ী বলেন, ‘গোট দলটাই দুর্নীতিগ্রস্ত। আগাপাশতলা দুর্নীতিগ্রস্ত এরকম দল দেশে আরেকটা নেই। এরা বেকারের চাকরি লুঠ করেছে। মানুষের টাকা লুঠ করে চলেছে। মানুষকে এরা সর্বস্বান্ত করে দিয়ে এখন শ্রীকান্তবাবুর চেতনা জেগে উঠেছে? ভালো কথা।’

 

বন্ধ করুন