জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উপর হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও অভিযুক্তদের গ্রেফতার না হওয়ায় সরব হয়েছে রাজ্য বিজেপি। মঙ্গলবার রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য স্পষ্ট দাবি জানালেন, এই হামলার তদন্ত যেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাঁর অভিযোগ, এটা কোনও আকস্মিক ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হামলা। বারবার বিজেপির নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উপর আক্রমণ চলছে, প্রশাসন নীরব দর্শক হয়ে আছে।
আরও পড়ুন: চোখের নিচে হাড় ভেঙেছে খগেন মুর্মুর, স্থানান্তরিত করা হতে পারে দিল্লির এইমসে
শমীক এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, বিজেপির তরফে এনআইএ তদন্ত দাবি করা হচ্ছে। কেউ যদি মনে করে সাংসদকে আঘাত করে বিজেপিকে ভয় দেখানো যাবে, তা হলে তারা ভুল করছে। অভিযুক্তরা পাতালেও ঢুকুক, কেন্দ্রীয় সরকার আইনের মাধ্যমে তাঁদের বের করবে। এই ঘটনার জেরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নজরও পড়েছে উত্তরবঙ্গে। মঙ্গলবার দুপুরে কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেন রিজিজু, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা একসঙ্গে যান মিরিকের বিপর্যস্ত এলাকায়। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। খগেন মুর্মুর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রিজিজু বলেন, লোকসভার স্পিকার ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন। রিপোর্ট দিতে দেরি হলে স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাব অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে সোমবার নাগরাকাটার দুর্যোগপীড়িত এলাকায় ত্রাণ পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন খগেন মুর্মু ও শঙ্কর ঘোষ। ইটের আঘাতে রক্তাক্ত হন সাংসদ খগেন, আহত হন শঙ্করও। তাঁদের উপর হামলাকে বিজেপি ‘পূর্বপরিকল্পিত’ বলে দাবি করেছে। দলের অভিযোগ, ওই এলাকায় তৃণমূলের রাজনৈতিক প্রভাব দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই ভয় দেখাতে ও সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই এই হামলা সংগঠিত করা হয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তারা বলছে, বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য দুর্যোগের পরিস্থিতিকেও ব্যবহার করছে।