দার্জিলিং, কালিম্পং ও মিরিকজুড়ে ভয়াবহ বৃষ্টি আর ভূমিধসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। পাহাড়ে স্বজনহারা মানুষদের পাশে দাঁড়াতে সোমবার সকালে উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। যাত্রার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
আরও পড়ুন: দার্জিলিঙে প্রবল বর্ষণে, ধস, মিরিকে সেতু ভেঙে মৃত্যু অন্তত ১৪ জনের, বন্ধ রাস্তা
শমীকের বক্তব্য, এই সরকারের কাছ থেকে মানবিক মুখ আশা করা একেবারে মূর্খতা। প্রতিহিংসা আর অযোগ্যতায় ভরা এমন প্রশাসন কোনও রাজ্যে আগে দেখা যায়নি। উত্তরবঙ্গের মানুষের চোখের জল মুছতে এই সরকারের কোনও সদিচ্ছা নেই। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভুটানের মানুষ এসে ডুয়ার্সের জঙ্গলের কাঠ কেটে নিয়ে গিয়েছে, নদী থেকে বালি তুলে নিয়েছে সবই রাজ্যের অদক্ষতার ফল। রাজ্য সরকার পাহাড়ের প্রকৃতির ধ্বংস ডেকে এনেছে, আর এখন হাত গুটিয়ে বসে আছে।
প্রসঙ্গত, রবিবারই দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে বিপর্যস্ত পরিস্থিতিকে রাজ্য-স্তরের দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করার আবেদন জানান। তাঁর যুক্তি, এই ঘোষণা হলে কেন্দ্রীয় সরকার আরও দ্রুত ও বিস্তৃতভাবে সাহায্য পাঠাতে পারবে। সেই সুরেই সোমবার শমীক বলেন, কেন্দ্র যা করার করছে। রাজ্য যদি সত্যিই মানুষকে সাহায্য করতে চায়, তাহলে কেন্দ্রের পাশে দাঁড়াক।
অন্যদিকে, সোমবার দুপুরেই বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, দুপুর তিনটের সময় তিনি বাগডোগরার উদ্দেশে রওনা দেবেন এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন। একই দিনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও উত্তরবঙ্গের পথে। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি হায়দরাবাদ থেকে সরাসরি বাগডোগরা পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখবেন। ইতিমধ্যে বিপর্যয় পরিস্থিতির সার্বক্ষণিক নজরদারির জন্য রাজভবনে তৈরি হয়েছে বিশেষ ‘পিস রুম’।