এবার বড়সর সংকটে শঙ্করপুর মৎসবন্দর। পলির স্তর জমেছে বন্দরে আসার পথে। এর জেরে বহু ট্রলার ওড়িশার ধামরা অথবা কাঁথির পেটুয়াঘাটে চলে যাচ্ছে। মৎস্যজীবীদের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই শঙ্করপুরে পলি জমেছে। তবে বর্তমানে ইয়াসের পর দেখা যাচ্ছে একেবারে স্তরে স্তরে পলি জমে গিয়েছে। এর জেরে নাব্য়তাও ভয়াবহভাবে কমে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, শঙ্করপুর মৎস্যবন্দরে ঢোকার মুখে গভীর খাল রয়েছে। সেই খালপথেই ট্রলারগুলি বন্দরে আসে। এদিকে বর্তমানে সেই খালে পলি জমতে শুরু করেছে। যথাযথ ড্রেজিং না হওয়ার কারণে সমস্যা আরও মাথাচাড়া দিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় চরা পড়ে যাচ্ছে। এমনকী চরাতে ধাক্কা খেয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়ছে একাধিক ট্রলার।
এদিকে ইয়াসের দাপটে সমুদ্রে জলোচ্ছাস হয়েছিল। তার জেরে আরও পলি পড়ে গিয়েছে বন্দরে ঢোকার মুখে। এর জেরে ট্রলারগুলি মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। অবিলম্বে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন না করলে আরও সমস্য়া পড়বেন মৎস্য়জীবীরা, এমনটাই দাবি শঙ্করপুর ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্য়াসোসিয়েশনের। এব্যাপারে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। পরিকাঠামো উন্নয়ন, পুরানো দুটি পেট্রল পাম্প খোলা সহ বিভিন্ন দাবিতে তাঁরা সরব হয়েছেন।
তবে মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরির দাবি, ইতিমধ্যেই পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ হয়েছে। পানীয় জল, বিদ্যুতের সমস্যাও মিটে যাবে। পাশাপাশি প্রশাসন সূত্রে খবর, বর্তমানে সমুদ্র উত্তাল থাকার জন্য ড্রেজিং করার ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্য়া রয়েছে। তবে আগামী নভেম্বর মাসের পর থেকে ড্রেজিং করার ক্ষেত্রে উদ্যোগ নেওয়া হবে।