পাহাড় তৃণমূলের সভানেত্রী শান্তা ছেত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের ঠিক আগের দিনই তিনি দলের জেলা নেতৃত্বকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বলে খবর। সেই চিঠিতে তিনি পদ ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। তবে তিনি নিজে একথা মানতে চাননি। তাঁর দাবি, পুরো ভুয়ো ঘটনা। আমার বদনাম করতে দলেরই কয়েকজন এসব করছে।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পাহাড়ে জিটিএ ভোটে বর্তমানে যথেষ্ট ভালো অবস্থানে রয়েছে তৃণমূল। কিন্তু বিনয় তামাং, অনীত থাপার প্রতি নেত্রীর যতটা আস্থা ততটা আস্থা শান্তা ছেত্রীর প্রতি নেই। এবার পাহাড় সফরে শান্তার ডানা ছাঁটা হতে পারে বলেও জল্পনা ছড়িয়েছিল দলের অন্দরে। সেটা আঁচ করেই কি তিনি নিজেই সরে দাঁড়াতে চাইছেন?
কয়েক মাস আগের ঘটনা। পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর সভা। সেদিন একেবারে ভরা সভায় শান্তা ছেত্রীকে ধমক দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। একলা নয় সকলকে নিয়ে পাহাড়ে চলার পরামর্শ দিয়েছিলেন নেত্রী। তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি, পাহাড়ে অনীত থাপার সঙ্গে শান্তার রাজনৈতিক সম্পর্ক কোনওদিনই ঠিকঠাক চলে না। অন্যদিকে অনীত থাপা মুখ্য়মন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।
সেই অনীত থাপার দলেরই এবার পাহাড়ের জিটিএ ভোটে জয়জয়কার। সম্প্রতি তিনি নবান্নে মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে গিয়েছিলেন। অনীত থাপার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্য়মন্ত্রী। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, অনীত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাদের নিয়েই এবার পাহাড়ে ঘুঁটি সাজাতে পারেন নেত্রী। সেই তালিকায় স্বাভাবিকভাবেই শান্তা ছেত্রীর গুরুত্ব না পাওয়ার সম্ভাবনা। সেক্ষেত্রে পাহাড় তৃণমূলের অন্দরে এবার কী ধরনের রদবদল হয় সেদিকেই নজর অনেকের।