বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > চাকরি নিলামে তুলতেন শান্তনু, ঠিক করতেন দর! হুগলির TMC নেতার এত সম্পত্তি কীভাবে?

চাকরি নিলামে তুলতেন শান্তনু, ঠিক করতেন দর! হুগলির TMC নেতার এত সম্পত্তি কীভাবে?

তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়।

হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধক্ষ। বলাগড়ের দাপুটে যুব তৃণমূল নেতা। ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। কিন্তু রাতারাতি কীভাবে আঙুল ফুলে কলাগাছ হল শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের? 

নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হুগলির যুব নেতা শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তিনি আবার হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধক্ষ। বাড়ি বলাগড়ে। কে এই শান্তনু? কতটা প্রভাবশালী তিনি? 

হুগলি তৃণমূলের অন্দরমহল সূত্রে খবর, যুব তৃণমূলের কার্যত শীর্ষপদে ছিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়। রাজ্য কমিটিতেও ছিলেন তিনি।  তবে সম্প্রতি দলের যে কমিটি তৈরি হয়েছে তাতে অবশ্য় শান্তনু নেই। তবে কি গ্রেফতারির সম্ভাবনা রয়েছে সেই আশঙ্কা করেই তৃণমূলের ওই দাপুটে নেতাকে আর খাতায় কলমে কমিটিতে রাখতে চায়নি হুগলি তৃণমূল? আর সেই নেতা এবার ইডির হাতে গ্রেফতার। কুন্তলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত তিনি। এদিকে তার গ্রেফতারির খবর সামনে আসতে হুগলি তৃণমূলের অন্দরে জোর শোরগোল।

তবে সূত্রের খবর, হুগলিতে যুব তৃণমূলের অন্দরে অত্যন্ত দাপুটে নেতা শান্তনু। অভিযোগ উঠছে তিনি চাকরির দর ঠিক করতেন। কার্যত চাকরি নিলামে তুলতেন তিনি। সূত্রের খবর, কার কাছ থেকে কতটাকা নেওয়া হবে চাকরির বিনিময়ে সেটা ঠিক করতেন শান্তনু। অভিযোগ এমনটাই। এমনকী তার ঘনিষ্ঠ কোনো যুব তৃণমূল নেতার কাছ থেকে পর্যাপ্ত টাকা না নিয়েই চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে সেই দাবিও দলের অন্দরে যিনি তুলতেন, তার নাম শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে অন্যদিকে কোন প্রার্থীর কাছ থেকে কত লাখ টাকা নেওয়া হবে সেটাও  ঠিক করতেন তিনি। কুন্তলের অত্যন্ত ভরসার জায়গায় ছিলেন তিনি। অভিযোগ এমনটাই।

এদিকে তাপস মণ্ডল এর আগে সংবাদমাধ্যমের সামনে জানিয়েছিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা। তাপস মণ্ডল জানিয়েছিলেন, শান্তনুবাবু একটা পদে ছিলেন। তার সঙ্গে কথা হয়েছিল। সেটা সিবিআইকে জানিয়েছিলাম। কুন্তলকে বলেছিলাম, কালীঘাটে কার কাছে করাবে? তখন কুন্তল বলেছিল শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নাম। 

শান্তনুর  বলাগড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সেদিন কুন্তলের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। আগেই গ্রেফতার হয়েছিল অপর যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। এবার ইডির হাতে গ্রেফতার শান্তনু। শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একাধিক অবৈধ নথি মিলেছিল। 

এদিকে বিরোধীদের একাংশের দাবি, চন্দননগর সহ হুগলির একাধিক জায়গায় শান্তনুর একাধিক বিলাসবহুল সম্পত্তি রয়েছে। রেস্তরাঁ ব্যবসার সঙ্গেও তিনি যুক্ত। চাকরি চুরির টাকায় ফুলে ফেঁপে উঠেছিলেন শান্তনু। আর সবটাই যুব তৃণমূলের শীর্ষ পদে থাকার সুবাদে তিনি করতেন। এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। 

বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য তথা হুগলির বিজেপ নেতা সোমনাথ দাস হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, কয়েক বছরের মধ্য়ে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কীভাবে এত প্রতিপত্তি হল তা দেখা হোক। কীভাবে এত সম্পত্তি করল তা খতিয়ে দেখা হোক।

শান্তনুর গ্রেফতারিতে এলাকায় লাডডু বিলি করছে বিজেপি। ফাটছে পটকা।

বন্ধ করুন