জেলমুক্তি হয়েছে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্য়তম অভিযুক্ত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘ দু বছর পরে হুগলির বাড়িতে ফিরলেন। শুক্রবারই তিনি নিজের জেলাতে আসেন। একসময় এই জেলাতেই দাপট ছিল তাঁর। এমনটাই কান পাতলে শোনা যায়।আর এখন সেই শান্তনু তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত।
শুক্রবার বাড়ি ফিরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি দলের ভেতরে থাকা গদ্দারিদের সম্পর্কে সতর্ক হওয়ার জন্য় অনুরোধ করেন। তারা অন্য দলের সঙ্গে ব্যালেন্স করে চলে বলেও মত শান্তনুর।
এমনকী কারোর সাহায্য়ে তিনি দলকে বিষয়টি জানাবেন বলেও জানিয়েছেন।
এদিকে শান্তনু ফিরতেই তাকে রীতিমতো গলায় মালা পরানো হয়। এরপর কালীমন্দিরে প্রণাম করেন তিনি। তারপর বাড়ি।
বাড়িতে প্রবেশের আগে শান্তনু বলেন, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কিছু বলব না। তবে এই কঠিন সময়ে যারা পাশে ছিলেন তাদের অনেক ধন্য়বাদ। আজকে আমাকে ঘরে ফেরাতে অনেকে এসেছেন, দেখে খুব ভালো লাগছে। আমি সবার পাশে থাকব। তিনি বলেন, দল আমাকে বহিষ্কার করেছে। সেই খবরে দুঃখ পেয়েছিলাম। তবে দলে ফেরার আবেদন জানাব না। ফিরিয়ে নিলে যাব।
এরপরই শান্তনু বলেন. অনেক কিছু দেখেছি। অনেক লোকের সঙ্গে থেকে বুঝেছি তারা দলে থেকে গদ্দারি করছেন। অন্য দলের সঙ্গে ব্যালেন্স করে চলেন। কারও মাধ্য়মে নেতৃত্বের কাছে সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব। আমার বিশ্বাস এমন অনেক কিছু বিষয় আছে যা দল পর্যন্ত পৌঁছয়নি। সামনে নির্বাচন। মনে হয় দলকে সতর্ক হয়ে এই বিষয়গুলি দেখা উচিত।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন শান্তনু। দীর্ঘদিন পরে বাড়ি ফিরলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে আগেই ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছিল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত একাধিক রাঘববোয়ালদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ। এনিয়ে বার বারই নানা চর্চা হয়েছে। তবে নিয়োগ দুর্নীতি তালিকায় তার নাম জড়ানোর পরে দল তাকে বহিষ্কার করে। এনিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। তিনি বলেন, দল আমাকে বহিষ্কার করেছে। সেই খবরে দুঃখ পেয়েছিলাম। তবে দলে ফেরার আবেদন জানাব না। ফিরিয়ে নিলে যাব।
অর্থাৎ জেল থেকে ফিরে বাড়ি যাওয়ার আগে দুটি বিষয় তিনি উল্লেখ করেছেন। প্রথমত দলের গদ্দারদের কথা ওপরমহলে জানাবেন। দ্বিতীয়ত দলে ফেরার ইচ্ছে আছে তবে ডাকতে হবে। তবেই যাবেন।