জারি রয়েছে পড়ুয়াদের আন্দোলন। এরই মাঝে গতকাল অসুস্থ হয়ে পড়েন বিশ্বভারতী উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী। এরপরই খবর পেয়ে বিশ্বভারতীর নিজস্ব পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে দু'জন চিকিৎসক ও নার্স গিয়েছিলেন উপাচার্যের বাসভবন পূর্বিতা। সেই সময়য় বচসার জেরে ফিরে যেতে হয় সেই চিকিত্সক এবং নার্সকে। পড়ুয়াদের দাবি ছিল, উপাচার্য অসুস্থ কিনা জানতে চিকিৎসকদের সঙ্গে দু'জন ছাত্র প্রতিনিধি যাবে। তবে সেই দাবি মানা হয়নি নিরাপত্তারক্ষীদের তরফে। এরপরই ফিরিয়ে দেওয়া হয় চিকিত্সক এবং নার্সকে। এরই মাঝে পড়ুয়ারা জানায়, সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক এনে উপাচার্যের চিকিৎসা করাবেন তাঁরা।
এরপরই বিশ্বভারতীর উপাচার্য অসুস্থতার খবর পেয়ে তাঁর বাসভবনে চিকিৎসকের দল নিয়ে পৌঁছে যান বোলপুরের এসডিপিও অভিষেক রায়। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশের নিয়ে আসা চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করাতে অস্বীকার করেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। উপাচার্যের বাসভবনের সামনে দাঁড়িয়ে পরিবারের সদস্যের সঙ্গে কথাও বলেন বোলপুরের এসডিপিও। পরে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, উপাচার্য বিশ্রাম করছেন। তাই চিকিৎসা করাতে চাইছেন না তিনি। ফলে ফিরে যেতে হয় পুলিশ ও চিকিৎসক দলকে।
অর্থনীতি বিভাগের দুই ছাত্র ও সঙ্গীত ভবনের এক ছাত্রীকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এপরই উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী। গত ২৭ অগস্ট রাত থেকে ৬ দিন ধরে ঘেরাও রয়েছেন উপাচার্য। উপাচার্যের বাড়ির সামনে অবস্থান মঞ্চ তৈরি করে অন্দোলন চালাচ্ছেন পড়ুয়ারা। এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী তথা আচার্য নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অভিযোগ করেছিলেন যে তিনি নাকি ঠিক মতো খাবার পাচ্ছিলেন না। তারপরই উপাচার্যকে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। এরপর কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে অভিযোগ করা হয়, উপাচার্যের বাড়ির সামনে বিশৃঙ্খলা এড়াতে রাজ্য সরকার কোনও রকম সহযোগিতা করছে না।