বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > ওসির হুমকিতেও TMC-তে যোগ দেননি স্ত্রী, ‘চাকরি’ গেল সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামীর

ওসির হুমকিতেও TMC-তে যোগ দেননি স্ত্রী, ‘চাকরি’ গেল সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামীর

কার্তিক হালদার ও সুপর্ণা বর্মন। 

বিজেপির টিকিটে পঞ্চায়েত সমিতিতে জিতেছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ারের স্ত্রী। তার পর বারবার তাঁকে তৃণমূলে যোগদানের জন্য OC চাপ ও প্রলোভন দেন বলে অভিযোগ। 

রানিনগরের পর শান্তিপুর। সিভিক ভলান্টিয়ারের স্ত্রী বিজেপির টিকিটে পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী হওয়ায় তাঁকে তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে। চাপের মুখে নতি স্বীকার না করায় চাকরি গেল ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের। এমনই অভিযোগ করেছেন কার্তিক হালদার। যদিও পুলিশ সুপারের দাবি, নিয়ম মেনেই ওই যুবককে কাজ থেকে সরানো হয়েছে।

কার্তিকবাবু স্ত্রী সুপর্ণা বর্মন বিয়ের আগে থেকে বিজেপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ২০১৮ সালে গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির টিকিটে জয়লাভ করেন তিনি। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল তাঁকে পঞ্চায়েত সমিতির টিকিট দেয়। সেই পরীক্ষাতেও পাশ করে শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

কার্তিকবাবু জানিয়েছেন, ভোটের ফল প্রকাশের পর প্রায় ১ মাস আমরা ঘরছাড়া ছিলাম। থানায় না জানিয়েই কাজে অনুপস্থিত থাকতে বাধ্য হই। ১৬ অগাস্ট বাড়ি ফিরে থানায় ফের কাজে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করি। ৭ সেপ্টেম্বর হোয়াটসঅ্যাপে জানতে পারি আমাকে কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ‘না জানিয়ে দীর্ঘদিন কাজে অনুপস্থিত থাকায় নিয়ম মেনেই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ যদিও বিজেপির দাবি, ‘নানা রকম ভাবে চাপ দিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়েও দলবদল করাতে না পারায় কার্তিকবাবুকে তৃণমূলের নির্দেশে কাজ থেকে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।’

সুপর্ণাদেবী জানিয়েছেন, ‘বিয়ের আগে থেকেই আমি বিজেপি করি। আমার রাজনীতির সঙ্গে আমার স্বামীর কোনও সম্পর্ক নেই। আমি চাই ওকে কাজটা ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’

 

বন্ধ করুন