এবার বিদেশি নাবালিকাকে পতিতাবৃত্তিতে নামানোর অভিযোগ উঠল। আর তাতে এখন জড়িয়ে গেল বাংলার নাম। বিদেশের ওই নাবালিকা সম্পর্কে অভিযোগ পায় পুলিশ। এই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে তদন্তে নেমে পড়ে শান্তিপুর পুলিশ। কারণ শান্তিপুরের যৌনপল্লিতে রাখা হয়েছিল ওই বিদেশি নাবালিকাকে বলে অভিযোগ। পুলিশ ওখান থেকেই ওই বিদেশি নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। বিদেশি নাবালিকা শান্তিপুরের যৌনপল্লিতে এল কী করে? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে।
এই বিদেশি নাবালিকাকে ফুঁসলিয়ে বাংলায় নিয়ে আসা হয় বলে পুলিশ জানতে পেরেছে তদন্তে নেমে। ওই বিদেশি নাবালিকাকে দিয়ে পতিতাবৃত্তি করাতে চেয়েছিল দু’জন। এই ঘটনায় ওই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। এখন তাদের দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। কোন পথে এবং কিভাবে ওই বিদেশি নাবালিকাকে এখানে আনা হয়েছে সেটাই এখন জানতে চায় পুলিশ। কারণ পুলিশের অনুমান, এই ঘটনার সঙ্গে আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের যোগ থাকতে পারে। যে বাড়িতে ওই বিদেশি নাবালিকাকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল সেই বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে চাইল্ড লাইন পুলিশকে অভিযোগ জানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: দোল–হোলি উপলক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রীর কথা ও সুরে নতুন গান, শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায়
পুলিশ সূত্রে খবর, শান্তিপুর পুরসভার অন্তর্গত ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে যৌনপল্লি আছে। এই যৌনপল্লি নিয়ে নানা অভিযোগ আছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। তবে তারপরও কোনওভাবে এই যৌনপল্লিকে তুলে দেওয়া যায়নি। অন্যান্য জেলার মেয়েদের এখানে পাওয়া যায়। এখানে নানারকম ঘটনা ঘটে। যা অনেক পরে জানাজানি হয়। এই যৌনপল্লির সঙ্গে অনেক বড় বড় মাথা জড়িয়ে আছে বলে সূত্রের খবর। আর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নদিয়ার চাইল্ড লাইন থেকে শান্তিপুর থানায় এই বিদেশি নাবালিকার অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, এক বিদেশি নাবালিকাকে আটকে রাখা হয়েছে যৌনপল্লিতে। পতিতাবৃত্তিতে নামানোর জন্য। আর তারপরই শান্তিপুর থানার পুলিশ সেখানে তল্লাশি চালায়।
শান্তিপুরের এই যৌনপল্লিতে তল্লাশি চালাতে গেলে অনেকে ভুল তথ্য দেয় পুলিশকে বলে সূত্রের খবর। তবে চাইল্ড লাইনের খবরকেই মাথায় রেখে চালানো হয় অপারেশন। আর তাতেই মেলে সাফল্য। একটি ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় ওই বিদেশি নাবালিকাকে। তারপর রাতেই তাকে কৃষ্ণনগর হোমে পাঠিয়ে দেওযা হয়েছে। ধৃত দু’জনকে আজ, বৃহস্পতিবার রানাঘাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। তদন্তের স্বার্থে এখনও পর্যন্ত পুলিশ এই বিষয়ে কিছু বলতে চাইছে না। এই ঘটনার পিছনে গোটা গল্পটা জানতে পুলিশ এখন তদন্ত করছে।