গাড়িতে পেট্রল ভরার পর বিল মেটানোর কথা। কিন্তু তা না করে পেট্রল পাম্পের এক কর্মীকেই পিষে মারার অভিযোগ উঠল একটি পিকআপ ভ্যানের চালকের বিরুদ্ধে। আর তার জেরেই গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ওই পেট্রল পাম্প কর্মীর। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুরের কন্দ খোলা এলাকায়। ঘাতক গাড়ির চালক পলাতক। এটি শনিবার মাঝরাতে ঘটিয়ে চম্পট দেয় পিকআপ ভ্যানের চালক। ওই ঘাতক পিকআপ ভ্যানের চালকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শান্তিপুরের পেট্রল পাম্পের কর্মীদের মধ্যে ছড়িয়েছে তীব্র আতঙ্ক। আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যেও। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম বিশ্বজিৎ দাস (৩০)। ওই যুবক শান্তিপুর থানার কন্দ খোলা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। পেট্রল পাম্প সূত্রে খবর, শনিবার মাঝরাতে একটি চারচাকা গাড়ি তেল ভরতে আসে। ফুল ট্যাঙ্ক তেল ভরে। কিন্তু টাকা না দিয়ে চলে যাচ্ছিল। তখন টাকার জন্য গাড়িটিকে আটকান কর্মী বিশ্বজিৎ। আর তখনই তার উপর দিয়েই গাড়ি চালিয়ে চলে যায় চালক বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের আঞ্চলিক জলসীমায় তেল–গ্যাসের সন্ধান, আর্থিক ভাগ্য বদলের সম্ভাবনা
অন্যদিকে এই ঘটনা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। পেট্রল পাম্পের ওই সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। আর তাতে দেখা যাচ্ছে, মাঝরাতে পাম্পে এসে দাঁড়াল একটি পিকআপ ভ্যান। তেল ভরার পর পাম্প কর্মী টাকা চাইতেই তা দিতে অস্বীকার করে চালক। কিন্তু কর্মী বিশ্বজিৎ এটা মেনে নিতে না পেরে নাছোড় হন। তখন চালক গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তাতে বাধা পেতেই গাড়ি না থামিয়ে পাম্প কর্মী বিশ্বজিৎকে পিষে দিয়ে চম্পট দেয় ওই চালক। বিশ্বজিৎকে গাড়িতে করে বেশ কিছুটা টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় ঘাতক চালক। তারপর ওই কর্মী পড়ে গেলে তাঁকে পিষে দিয়ে পালিয়ে যায় চালক।
এছাড়া রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুঠিয়ে পড়েন যুবক বিশ্বজিৎ। গাড়িটি রানাঘাট থেকে কৃষ্ণনগরের দিকে যাচ্ছিল। অন্যান্য কর্মীরা বিশ্বজিৎকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চালকের খোঁজে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পেট্রল পাম্পের মালিক অসীম পাল বলেন, ‘মাঝরাতে একটি গাড়ি তেল ভরে। যার মূল্য সাড়ে ৫ হাজার টাকা। ওই গাড়িতে তিনজন ছিল। ওরা ঘোরাঘুরি করছিল। আমার কর্মী টাকা চায়। সেটা না দিয়ে ওকে পিষে দিয়ে চলে যায়। আমরা পুলিশে খবর দিয়েছি।’