অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ এনে লাইমলাইটে এসেছিলেন তিনি। সেই শিবঠাকুর মণ্ডলের স্ত্রীর বিরুদ্ধে উঠল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, টেট না দিয়েই স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি করছেন শিবঠাকুর মণ্ডলের স্ত্রী লিপিকা মণ্ডল। বার বারই তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে শিশুদের ভুল পড়ানোর অভিযোগ।
গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মেজে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন শিবঠাকুর মণ্ডলের স্ত্রী লিপিকা মণ্ডল। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, লিপিকাদেবী কবে টেট দিয়েছেন তা কারও জানা নেই। বালিজুড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান থাকাকালীন চাকরি দেওয়ার নামে বহু মানুষের থেকে টাকা তুলেছিলেন শিবঠাকুর। তখনই স্ত্রীকে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকার চাকরিতে ঢুকিয়ে দেন তিনি।
বুধবার লিপিকা মণ্ডলের খোঁজ করতে স্কুলে যান বেসরকারি সংবাদমাধ্যম ক্যলকাটা নিউজের প্রতিনিধি। সেখানে তিনি লিপিকা মণ্ডলের কাছে অভিযোগের সত্যতার ব্যাপারে জানতে চান। সঙ্গে সঙ্গে রণচণ্ডী মূর্তি ধারণ করেন লিপিকা। সাংবাদিককে সহযোগিতা করার পরিবর্তে স্বামীকে ফোন করেন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্কুলে পৌঁছে যান শিবঠাকুর। এর পর নিজেকে অভিভাবক বলে দাবি করে সাংবাদিককে না না ভাবে কাজে বাধা দিতে থাকেন তিনি। এমনকী সাংবাদিক Hundred বানান জিজ্ঞাসা করলে ভুল জবাব দেন লিপিকা। সাংবাদিক তাঁর কাছে জানতে চান, কোন পরীক্ষাকেন্দ্রে টেট দিয়েছিলেন তিনি? তারও জবাব দিতে পারেননি লিপিকা। বলতে পারেননি চাকরিতে যোগদানের তারিখ।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, লিপিকাদেবী অন্য স্কুলে কর্মরত ছিলেন। ৫ বছর আগে সেখান থেকে ডেপুটেশনে তাঁর স্কুলে এসেছেন। কিন্তু কোন স্কুলে লিপিকাদেবী কর্মরত ছিলেন তা বলতে পারেননি তিনি। এমনকী সেই তথ্য দিতে অস্বীকার করেন লিপিকা মণ্ডল নিজে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, লিপিকা মণ্ডল কারচুপি করে চাকরি পেয়েছেন। শিবঠাকুর মণ্ডল তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে স্ত্রীর চাকরি পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।