গরমের দাপটে নদীর বুক একেবারে ধূ ধূ প্রান্তর। যেদিকে দুচোখ যায় শুধু বালি, আর বালি। গরমকালে অজয় নদের এই ছবির সঙ্গে কমবেশি পরিচিত অনেকেই। আর সেই অজয়ের বালির চর থেকে উদ্ধার একের পর এক শিবলিঙ্গ। শিবলিঙ্গ দেখতে এই করোনা আবহের মধ্যে ভিড় জমেছে এলাকায়। এমনকী শুরু হয়েছে পুজোপাঠও। স্থানীয় সূত্রে খবর, পশ্চিম বর্ধমানের লাউদোহা ফরিদপুর ব্লকের গোগলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নতুন ডাঙ্গা এলাকার পাশেই বয়ে গিয়েছে অজয় নদ। সেখানেই দেখা মেলে শিবলিঙ্গগুলি। কিন্তু কীভাবে পাওয়া গেল এই শিবলিঙ্গগুলিকে? স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, অজয় থেকে বালি তোলার সময় বুধবার বিকালে একটি শিবলিঙ্গ বের হয়। বৃহস্পতিবার ফের বালি তোলার সময় বের হয় ৯টি শিবলিঙ্গ। তবে কয়েকটি শিবলিঙ্গ ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। খবর চাউড় হতেই ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। স্থানীয় মহিলারা শিবলিঙ্গকে সিঁদুর মাখিয়ে এবং ধুপ ধুনো দিয়ে পুজো দেন। প্রাচীনকালে এখানে কোনও গ্রাম ছিল নাকি অন্য জায়গা থেকে এনে এখানে বালির চরে পুঁতে রাখা হয়েছিল তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। কী উপকরণ দিয়ে এগুলি তৈরি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শিবলিঙ্গ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় নানা কথাও রটতে শুরু করেছে। লাউদোহা ফরিদপুর থানার পুলিশ এবং বীরভূম জেলার খয়রাশোল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ব্লক প্রশাসনও এব্যাপারে খোঁজখবর শুরু করেছে। এলাকায় পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু কীভাবে এল এই শিবলিঙ্গগুলি? স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি,'কীভাবে এগুলি এল তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে এগুলি আপাতভাবে মনে হচ্ছে দীর্ঘকালের পুরানো। অন্য কোথাও থেকে এইগুলি এসেছে নাকি এখানে আগে মন্দির ছিল তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে এগুলি সংরক্ষণ করা দরকার।'