এবার দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে তৃতীয়ার রাতে গুলি চলল আসানসোলে। এই শুটআউটের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক স্থানীয় যুবক। দক্ষিণ থানার জিটি রোডের আসানসোল পুরসভার ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোপালপুরের সৎসঙ্গ নগর কংলগ্ন তেঁতুলতলায় এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। বুধবার বেশি রাতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। এক মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছে আসানসোলে? স্থানীয় সূত্রে খবর, গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম অঙ্কিত বর্মণ (২১)। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। তাই তাঁকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই যুবক অঙ্কিত এখানের একটি বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে মা এবং মেয়ে থাকে। গোপনে তারা দেহব্যবসা করে। সেখানে এই যুবক যেতেই উপস্থিত আর এক ব্যক্তির সঙ্গে বচসা শুরু হয়। আর তার জেরেই গুলি চলে এবং ওই মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, গোপালপুরের তেঁতুলতলা এলাকায় একটি বাড়িতে এক মহিলা ও তাঁর মেয়ে থাকে। সেখানে রাতে অঙ্কিত বর্মণ বলে যুবক গিয়েছিলেন। তখন ওই বাড়ির মধ্যে অন্য এক ব্যক্তি ছিল। সেখানেই ওই ব্যক্তির সঙ্গে অঙ্কিতের বচসা হয়। তখনই অঙ্কিতকে লক্ষ্য করে ওই ব্যক্তি গুলি চালায়। যা গিয়ে লাগে অঙ্কিতের থুতনিতে। এরপরই চম্পট দেয় অভিযুক্ত ব্যক্তি। আর অঙ্কিতকে উদ্ধার করে প্রথমে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই মহিলাকে আটক করা হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? পুলিশ অবশ্য গোপনে দেহব্যবসার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানায়নি। গুলিবিদ্ধ যুবকের পরিবারের সদস্যরা তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এই ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি (সেন্ট্রাল) দেবরাজ দাস, আসানসোল দক্ষিণ থানার ইনস্পেক্টর ইনচার্জ কৌশিক কুণ্ডু। এই ঘটনা নিয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার এস কুলদীপ বলেন, ‘শুটআউটের তদন্ত করা হচ্ছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।’ স্থানীয় কাউন্সিলর দীপা চক্রবর্তী বলেন, ‘গুলি চলার কথা শুনেছি।’