সবে সন্ধ্যা নেমেছে। তবে গাঢ় হয়নি। এই আবহে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে বাড়ির পথে হেঁটে আসছিলেন যুবক। তারপর কথা শেষ করে ফোন রেখেছিলেন হাতেই। গ্রামের রাস্তা ফাঁকাই ছিল তখন। হঠাৎ যুবক মহাদেব দেখলেন চারদিক থেকে তাঁকে ঘিরে ফেলা হয়েছে। তারপর তাঁর হাত থেকে মোবাইলটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন মহাদেবও। তখনই চলে গুলি। গুলির শব্দে কেঁপে উঠল শিমুলিয়া গ্রাম। গুলিবিদ্ধ মহাদেব এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ভরসন্ধ্যা বেলায় গুলির শব্দ শোনা যায়। প্রথমে মনে হয়েছিল কোনও দুষ্কৃতী তাণ্ডব হচ্ছে। কিন্তু যুবকের আর্তনাদে বোঝা যায় ঘটেছে অন্য কিছু। গ্রামের রাস্তায় বেরিয়ে দেখা যায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এক যুবক। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবকের বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছিলাম ওরা আমাকে অনুসরণ করছে। তবে তাড়াতাড়ি এগোতেই ওরা আমাকে ঘিরে ধরে। মোবাইলটা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমি আটকাতেই ওরা পকেট থেকে বন্দুক বার করে গুলি চালিয়ে দেয়। সেটা বুঝিনি। পায়ে গুলি লাগতেই পড়ে যাই আমি।’
পুলিশ সূত্রে খবর, মহাদেবকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। তদন্ত শুরু হয়েছে। ছিনতাইবাজরা গুলি চালিয়েছে। যুবক সুস্থ হলে অভিযুক্তদের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে। তাদের খুব কাছ থেকে দেখেছেন ওই যুবক। আগে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারা জড়িত দেখা হচ্ছে।