ভরদুপুরে গুলি চলল তৃণমূল কংগ্রেসের বৈঠকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তেতে উঠল গ্রামবাংলা। আজ, বৃহস্পতিবার ভরদুপুরে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটে গেল। চোপড়ায় এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চলে। তাতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন সদস্য। এই গুলিচালনার নেপথ্যে গোষ্ঠীদ্ববন্দ্ব রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভরদুপুরে গুলির শব্দে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়। বচসা থেকেই গুলি চলেছে বলে সূত্রের খবর। এমন ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে চোপড়ায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার দিঘাপানা এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে বুথ কমিটির বৈঠক চলছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে বৈঠক চলছিল। সেই বৈঠক শেষ করে সকলে যখন দলীয় কার্যালয়ের বাইরে বেরিয়ে আসছেন, তখনই আচমকা এলোপাথাড়ি গুলি চলতে শুরু করে। আর গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ফাইজুল রহমান নামে এক তৃণমূল কর্মী। তাঁর বুকে গুলি লাগে। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। খবর পেয়ে চোপড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর বচসার জেরেই গুলি চলে। গুলিতে জখম হন বেশ কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। তাঁদের দ্রুত ইসলামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মারা যান ফাইজুল রহমান এবং বাকিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুথ কমিটির বৈঠক শেষ হওয়ার পরেই গুলি চলে। বাড়ি ফেরার সময় বাইরের কিছু দুষ্কৃতী এসে ফাইজুলকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। সেখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে ফাইজুল। গুলি লাগে আরও তিনজনের। এগুলি সবই ছররা গুলি।
ঠিক কী প্রতিক্রিয়া ফাইজুল রহমানের ছেলের? এখানে বৈঠক চলাকালীন নির্বাচনী টিকিট বিতরণ ঘিরে বচসা বাধে। সেখান থেকেই একটি গোষ্ঠী, অন্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে এলাকায় পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। এলাকার বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ইসলামপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের হয়েছিল কয়েকদিন আগে। ফাইজুলের ছেলে বলেন, ‘যে দুষ্কৃতীদের গুলিতে আমার বাবার প্রাণ খোয়া গেল তারা সবাই তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর মদতপুষ্ট। এলাকায় তৃণমূল এখন দুটি শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছে।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup