বিধানসভা নির্বাচন শেষ হয়ে সরকার গঠন হয়ে গেলেও রাজনৈতিক খুনের ঘটনা অব্যাহত। এবার আবার রাজ্যে খুন হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা। ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ। এই ঘটনা নিয়ে রাতভোর তোলপাড় হয়ে যায় এলাকা। ব্যারাকপুর লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেসের হিন্দি সংগঠনের নেতাকে গুলি করে খুন করা হয়েছে বলে তথ্য উঠে এসেছে। এমনকী আবহাওয়া গরম রাখতে এলাকায় চলে বোমাবাজিও। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করে দফায় দফায় চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
ঠিক কী ঘটেছে খড়দহে? স্থানীয় সূত্রে খবর, ব্যারাকপুর লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেসের হিন্দি সংগঠনের নেতা রণজয় শ্রীবাস্তব শুক্রবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। নিজের গাড়িতে তাঁর সঙ্গে আরও একজন ছিলেন। খড়দহ বড়পট্টি এলাকায় তাঁর গাড়ি পৌঁছতেই একদল দুষ্কৃতী তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি, বোমা ছুঁড়তে থাকে বলে অভিযোগ। তখন গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থল ছাড়ার চেষ্টা করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। কিন্তু রেহাই পাননি। গলার নিচে গুলি লাগে তাঁর। রক্তক্ষরণ হতে শুরু করে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়রা দৌড়ে এসে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে উদ্ধার করে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু চিকিৎসকরা জানান, ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতার মৃত্যু হয়েছে।
এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসে খড়দহ থানার পুলিশ। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা খুনের ঘটনায় রাতেই শুরু হয় তদন্তের কাজ। রাতেই পুলিশ পাঁচজন সন্দেহভাজনের খোঁজ পেয়ে তাদের আটক করে। অভিযুক্তদের দফায় দফায় জেরা করছে পুলিশ। তবে এটা পূর্ব–পরিকল্পিত বলে মনে করা হচ্ছে। খড়দহ, জগদ্দল, ব্যারাকপুর এবং ভাটপাড়া প্রায়ই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে খুন–বোমাবাজিতে। এবার এই ঘটনায় শোরগোন পড়ে গেল।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঠিক কী কারণে খুন তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নাকি ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে খুন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে খুন করতে সুপারি কিলারের সাহায্য নেওয়া হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুনের ঘটনার জেরে তৃণমূল কংগ্রেস নেতার পরিবারে নেমেছে শোকের ছায়া।