মালদার একটি গ্রামে সালিশি সভা বসে। সেই সালিশি সভা চলাকালীন শুটআউটের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার বেশি রাতে এই ঘটনা ঘটেছে পুরাতন মালদা থানা এলাকায়। এক গৃহবধূর আপত্তিকর ছবি তোলার অভিযোগে সালিশি সভা বসেছিল। সেখানে উপস্থিত ছিল অভিযুক্ত। সভা বসিয়ে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সভা চলাকালীন দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ বেঁধে যায়। অভিযোগ, তখন হঠাৎই গুলি চালায় অভিযুক্ত যুবক। আর জেরে একজন গুলিতে আহত হয়েছেন।
ঠিক কী ঘটেছে মালদায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, মালদা থানার যাত্রাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের হালনা মহম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা রাশিদুল শেখ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, এলাকার এক মহিলার নগ্ন ছবি তোলা এবং তার শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিচার করার জন্য গ্রামেই বসানো হয় সালিশি সভা। বিচার চলাকালীন মতপার্থক্য থেকে ঝামেলা হয়। আর তখনই মতের অমিল হওয়ায় অভিযুক্ত যুবক গুলি চালায়। এমনকী ধারালো অস্ত্র দিয়ে দু’জনকে কোপায় বলেও অভিযোগ।
তারপর ঠিক কী ঘটল? জানা গিয়েছে, ওই যুবকের সঙ্গীদের ছুরির আঘাতে আরও দু’জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। আহতরা মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। অভিযুক্তরা ঘটনার পরই পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদায়। ওই গৃহবধূ এখন আতঙ্কে রয়েছেন।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, মালদায় যেখানে গুলি চলেছে সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ম্যাগাজিন। অভিযুক্ত রাশিদুল শেখ পলাতক। তার উদ্দেশে খোঁজ চলছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছে পুলিশ। এলাকায় পুলিশি পাহারা জারি রয়েছে। ওই গৃহবধূর সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ। তাঁর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।