পরপর গুলি চলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল মেদিনীপুর। শনিবার ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন হোটেলে এই ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েকজন দুষ্কৃতী হোটেলের মধ্যে ঢুকে মালিকের খোঁজ করে। অভিযোগ, কিন্তু মালিকের হদিশ না পেয়ে ক্যাশ কাউন্টারের সামনে দু’রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। মারধর করা হয় হোটেলের এক কর্মীকেও। এমনকী রবিবার দুপুরের মধ্যে এক লাখ টাকা পৌঁছে না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়।
এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ঘটে দ্বিতীয় ঘটনাটি। হোটেল থেকে বেরিয়ে ওই দুষ্কৃতী দলটি পৌঁছে যায় মেদিনীপুরের মহতাবপুরের পদ্মাবতী শ্মশানঘাটে। সেখানে এক ব্যক্তিকে বন্ধুকের নল ঠেকিয়ে হুমকি দেয় তারা। তারপর শূন্যে এক রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, দুষ্কৃতী দলের পিছু নিয়ে পাকড়াও করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানান, খবর পেয়ে রীতিমতো পিছু নিয়ে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।
এই ঘটনাটি ধরা পড়েছিল হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরায়। ওই ঘটনার প্রায় তিন ঘন্টা পর হোটেলে পৌঁছে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলির খোল উদ্ধার করে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ঘটনায় উঠে আসছে মেদিনীপুরের কুখ্যাত দুষ্কৃতী মোটা রাজার নাম। তবে কে বা কারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা এখনও জানায়নি পুলিশ।
প্রকাশ্যে ৩ রাউন্ড গুলিও করে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ঘটনায় হতচকিত হয়ে যায় এলাকাবাসীরা। তারপর সেই দুষ্কৃতী আবার পালিয়ে যায়। মেদিনীপুর শহরের ধর্মা থেকেও দুটি কার্তুজের খোল উদ্ধার হয় বলে দাবি স্থানীয়দের। পর পর শ্যুটআউটের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে মেদিনীপুর শহরে। এই ক্ষেত্রে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হলেও, শহরের বুকে এত অস্ত্র কোথা থেকে আসছে তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।