পুজোর আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। তার আগে পুজোকে ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদার জুলুমবাজির অভিযোগ সামনে এসেছে। আর এবার চাঁদার প্রতিবাদ করায় এক মাংস বিক্রেতাকে মেরে কান ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুজো কমিটির এক সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত একটি স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক। এই অবস্থায় পুজোয় চাঁদার জুলুমবাজির পাশাপাশি প্রাক্তন শিক্ষকের ব্যবহার নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটির গৌরীপুর বাজারে।
আরও পড়ুন: মমতার গানের অ্যালবাম প্রকাশ মহালয়ায়! সুরও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, ১০টিই শুনে নিন
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম অশোক সাউ। তিনি স্থানীয় একটি স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক এবং বর্তমানে স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সম্পাদক। প্রতি বছর বাজারে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়। সেই পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা হলেন অশোক। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় বাজারে দুর্গাপুজোর জন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করছিলেন তিনি। তাই চাঁদা চাইতে ওই মাংস বিক্রেতার কাছে যান অশোক। কিন্তু, মুরগির মাংস বিক্রেতা চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন। তাই নিয়ে অশোকের সঙ্গে তুমুল বচসা হয় মাংস বিক্রেতা দীপক চক্রবর্তীর।
অভিযোগ, তখন প্রাক্তন শিক্ষক দীপককে মারধর করেন। তার জামার কলার টেনে ছিঁড়ে দেন। দীপকের অভিযোগ, অশোক একজন প্রাক্তন শিক্ষক। কিন্তু তাঁর আচরণ মোটেই শিক্ষক সুলভ ছিল না। প্রতিবারই তিনি চাঁদা নিয়ে ব্যবসায়ীদের জুলুমবাজি করেন। তাছাড়া ওই প্রাক্তন শিক্ষক একজন প্রভাবশালী বলে দাবি করেছেন দীপক।
মাংস বিক্রেতার দাবি, এমনিতেই ফুটপাথ থেকে ব্যবসায়ীদের তুলে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে ব্যবসা মার খেয়েছে। রাস্তায় কাজের জন্য থেকে নোটিশ দিয়ে ফুটপাতের সব ব্যবসায়ীদের তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই পুজোর আগে তাদের মাথায় হাত পড়েছে। সেই পরিস্থিতির মধ্যেও অশোক তাঁর কাছে ১,০০০ টাকা দাবি করেছিলেন বলে অভিযোগ। এত পরিমাণ চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় এই ঘটনা বলে দাবি দীপকের।
এদিকে, এই ঘটনা দীপকের পরিবারের অভিযোগ, অশোক শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত। তিনি যেভাবে দীপককে মারধর করেছেন তাতে একটু বেশি আঘাত লাগলে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত। এ বিষয়ে ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, প্রাক্তন শিক্ষকের এরকম আচরণ মোটেও উচিত হয়নি। এ বিষয়ে তিনি দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তবে পাল্টা অভিযুক্তের দাবি, চাঁদা চাইতে গেলে তাঁকে গালিগালাজ করা হয়েছিল। এদিকে, অভিযুক্ত, যেহেতু প্রবীণ তাই সেক্ষেত্রে নতুন আইনে প্রবীণদের কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।