করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ফের বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল স্থানীয় প্রশাসন। ব্যারাকপুরের পর এবার হাওড়া ও রাজপুর–সোনারপুর এলাকায়। ব্যারাকপুরে ৭ দিনের জন্য বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এবার ৩ দিনের জন্য বাজার–দোকান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল হাওড়া পুর প্রশাসন।
হাওড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সমস্ত বাজার ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায়। যে সমস্ত বাজার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল ডোমজুড়, মাকড়দহ, ঘুসুড়ির নস্করপাড়া, সাঁকরাইলের চাঁপাতলা, রাজগঞ্জ ও আন্দুল এলাকার সমস্ত বাজার ও দোকানপাট। এই তিনদিন এলাকায় শুধুমাত্র ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। বাকি সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। ডোমজুড়ের বিডিও জানান, জেলায় করোনা সংক্রমণের হার পুরোপুরি নামিয়ে আনতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাঝে কিছুদিন সংক্রমণ কমে এসেছিল। কিন্তু এখন হঠাৎ বেশ কিছু এলাকায় দৈনিক সংক্রমণের হার বাড়ছে। তাই সংক্রমণে রাশ টানতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হাওড়া এলাকায় বেশ কিছু জায়গায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসাবেও ঘোষণা করা হয়েছে। শুধুমাত্র শহর এলাকা নয়, বেশ কিছু গ্রামীণ এলাকাকেও মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্যদিকে রাজপুর–সোনারপুর পুর এলাকাও আগামী ৩ দিন দোকানপাট ও বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে টানা তিনদিন এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে। সোনারপুর উত্তরের বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম জানান, সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙার জন্য এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর মতে, রাজ্যে প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে ৭০ শতাংশের দেহেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি শিশুদের মধ্যে প্রায় ৮৬ শতাংশের দেহেই এই ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। শিশুদের মধ্যে এই ভ্যারিয়েন্ট বেশি পরিমাণে থাবা বসিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে যে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন দেওয়া হচ্ছে, এই দুটি ভ্যাকসিনই নতুন এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে সক্ষম।