মৃতদেহ দাহ করা নিয়ে দু’দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ থামাতে গিয়েছিলেন পুলিশ অফিসার। তাঁকে লক্ষ্য করেই গুলি চালিয়ে দিল এক দুষ্কৃতী। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হলেন লিলুয়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর সুমন ঘোষ। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বালির বাঁধাঘাট শ্মশানের সি রোডে। রাতের অন্ধকারে হাওড়ার অন্যতম ব্যস্ত রাস্তার উপর প্রকাশ্যে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় ব্যপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এরপর র্যাফ নামানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক ব্যাক্তির মৃতদেহ সৎকার করতে এসে দু’দলের মধ্যে ঝামেলা বেঁধে যায়। সন্তোষ খাটুয়া নামের লিলুয়ার বাসিন্দা এক ব্যক্তির মৃতদেহ সৎকার করতে তাঁর পরিবারের লোকেরা বাঁধাঘাট শ্মশানের দিকে আসার পথে স্থানীয় যুবকদের সঙ্গে বচসা তারপর হাতাহাতি শুরু হয়।
শ্মশানযাত্রীদের অভিযোগ, কোনও কারণ ছাড়াই মদ্যপ অবস্থায় ওই যুবকেরা তাঁদের পথ আটকে গালিগালাজ করছিল। তারপরই শ্মশান যাত্রী একটি ছেলেকে বেধড়ক মারধর করে সি রোডের ছেলেরা। এই নিয়ে প্রতিবাদ করতে তাঁরা শ্মশান যাত্রীদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর দু’পক্ষের মারামারি শুরু হয়৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছন লিলুয়া থানার সাব ইন্সপেক্টর সুমন ঘোষ৷ দু’পক্ষকে শান্ত করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি৷ কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি৷ উল্টে হাওড়ার অন্যতম ব্যস্ত রাস্তার উপর কর্তব্যরত ওই পুলিশ অফিসারকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এক দুষ্কৃতী। তার ছোড়া গুলি ছুটে গিয়ে সুমনের পায়ে বিঁধে যায়। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন তিনি৷ গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়।